কেনার আগে গাড়ি পরীক্ষা করে দেয় যেসব প্রতিষ্ঠান

ডিজিটাল পদ্ধতিতে গাড়ি পরীক্ষা করা হচ্ছে
প্রথম আলো

বেশি দাম দিয়ে পছন্দের ব্র্যান্ডের নতুন কিংবা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি হয়তো অনেকেই কিনতে চান না বা পারেনও না। এই শ্রেণির গ্রাহকেরা নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে থেকে দেশে ব্যবহৃত তথা পুরোনো গাড়ি কিনে নিজেদের প্রয়োজন মেটান। তবে ব্যবহৃত গাড়ি কেনার আগে ক্রেতাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এই খাতের ব্যবসায়ীরা।

গাড়ির মূল কাঠামো বা চেসিস, ইঞ্জিন ও অন্যান্য মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস যন্ত্রাংশ কী অবস্থায় রয়েছে, তা এখন পরীক্ষা করে দেয় বিভিন্ন কার অ্যানালাইসিস প্রতিষ্ঠান। এ জন্য তারা কাজের ধরনভেদে আড়াই হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নিয়ে থাকে।   

কার অ্যানালাইসিস প্রতিষ্ঠান অটো ট্রেডের ব্যবসাপ্রধান মো. রিয়াজ রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ব্যবহারের সময় বিভিন্ন কারণে একটি গাড়িতে স্থায়ী বা অস্থায়ী কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ব্যবহৃত কোনো গাড়ি কেনার আগেই সেটির সার্বিক অবস্থা যাচাই করে দেখা উচিত।

দেশে বর্তমানে দশটির বেশি কার অ্যানালাইসিস প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অটো ট্রেডসহ নাভানা, মাল্টিব্র্যান্ড, ভেহিকেল সলিউশন, অটো এক্সপ্রেস, এইচএনএস, কার ডক্টর, কন্টিনেন্টাল ওয়ার্কস ও আইওয়ার্কস অন্যতম। 

সাধারণত তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে একটি গাড়ির মূল কাঠামো বা চেসিস, মেকানিক্যাল ও ইলেকট্রিক্যাল বিষয়গুলো যাচাই করা যায় বলে জানান এইচএনএস ওয়ার্কশপের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান এ এ বায়েজিদ। তিনি জানান, একটি গাড়ির মূল কাঠামোতে কোনো দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতি আছে িকনা তা থ্রি-ডি অ্যালাইনমেন্ট যন্ত্র ও সরাসরি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দেখা হয়।

কার অ্যানালাইসিস প্রতিষ্ঠানগুলো গাড়ির ইঞ্জিনের সার্বিক অবস্থা (যেমন কম্প্রেশন ও ইমিশন), সাসপেনশন, ব্যাটারি, গিয়ার অয়েল ও কেবিন ফিল্টারের কার্যক্রম যাচাই করে। এ ছাড়া গাড়ির সব ধরনের সেন্সরসহ ইলেকট্রিক্যাল বিষয়গুলো কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। 

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশে দিন দিন রিকন্ডিশন্ড ও ব্যবহৃত গাড়ির গ্রাহকসংখ্যা বাড়ছে। ফলে গাড়ি কেনার আগে তা পরীক্ষা করানোর হারও বাড়ছে।