নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি না থাকলেও মূল্যস্ফীতি কমেছে

গত নভেম্বরে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। অক্টোবরে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি
প্রতীকী ছবি

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে স্বস্তির খবর না থাকলেও অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি আরেকটু কমেছে। গত মাসে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। অক্টোবরে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৯১।

পরিকল্পনামন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ সোমবার আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

মূল্যস্ফীতির তথ্য-উপাত্ত হিসাব করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সংস্থাটির হিসাবে, গত মাসে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে খাদ্যবহির্ভূত খাতে। এ খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। অক্টোবরে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

এদিকে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বাড়লেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে গত মাসে। নভেম্বরে তা কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশে। অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, শাকসবজির দাম কমেছে। এ ছাড়া ধানের ব্যাপক ফলন হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভবিষ্যতে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে।

আরও পড়ুন

বিবিএসের হিসাবে, গত আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৫২। সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছে। আগস্টে গত ১১ বছর ৩ মাসের (১৩৫ মাস) মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। ২০১১ সালের মে মাসের পর মূল্যস্ফীতি আর কখনোই ৯ শতাংশের বেশি হয়নি।

আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের মূল্যস্ফীতির তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে। সাধারণত বিবিএস প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতির তথ্য দিলেও এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে একসঙ্গে দুই মাসের (আগস্ট ও সেপ্টেম্বর) মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন