গাজা যুদ্ধের জের, ইসরায়েলের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হচ্ছে
ইসরায়েলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। শ্লথ হয়ে পড়ার কারণে দেশটির অর্থনীতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রত্যাশার তুলনায় কম প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলে সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে। গাজায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ইসরায়েলের অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে।
গত এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে ইসরায়েলের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বার্ষিক ভিত্তিতে মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এই প্রাক্কলন দিয়েছে। এক মাস আগে প্রবৃদ্ধির হার দশমিক ৭ শতাংশ হওয়ার তথ্য দিয়েছিল সংস্থাটি। গত আগস্টে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ধারণা ছিল, চলতি বছর ১ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের অর্থনীতিতে যতটুকু প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা মূলত ভোক্তা ও রাষ্ট্রের ব্যয় বৃদ্ধি এবং স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগের কারণে হয়েছে। অন্যদিকে, এ সময় রপ্তানি কমেছে।
গত সপ্তাহে ব্যাংক অব ইসরায়েল ২০২৪ সালের জন্য দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্রাক্কলন করেছে। এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল, চলতি বছর প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে।
একদিকে যেমন ইসরায়েলের অর্থনীতি দুর্বল হচ্ছে, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এই অবস্থায় সুদের হার বাড়তে পারে। গত সপ্তাহে ব্যাংক অব ইসরায়েল সুদের হার অপরিবর্তিত রেখেছে। এ নিয়ে পরপর ছয়টি নীতিনির্ধারণী বৈঠকে কর্মকর্তারা সুদের হার স্থির রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন।
২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলের অর্থনীতি ওই বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে বেশ অনেকটা সংকুচিত হয়েছিল। এরপর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ায় এবং চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি ১৭ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে বলে প্রাক্কলন করা হয়।