ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১৩ জেলায় প্রিপেইড বিদ্যুতের মিটার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ–সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ৬১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ দেবে ৩২৮ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকারি তহবিল থেকে খরচ হবে। আগামী ২০২৪ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
পিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চারটি বিতরণ জোনের (চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও সিলেট) অধীনে থাকা ২৫টি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের সব গ্রাহককে স্মার্ট প্রিপেমেন্ট মিটার ব্যবহারের আওতায় আনা হবে।
জানা গেছে, প্রকল্পটির আওতায় ১০ লাখ ২০ হাজার সিঙ্গেল ফেজ, ৩০ হাজার থ্রি-ফেজ স্মার্ট প্রিপেমেন্ট মিটার, সাড়ে ৮ হাজার এনক্লোজার বক্স ও ৮ হাজার ৮৮১টি তথ্যভান্ডার ও ভোক্তাসেবা–সংক্রান্ত নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে।
এদিকে গতকালের একনেক সভায় দেশের ১৫টি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ২১৪ কোটি টাকার আলাদা একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির পুরো অর্থই সরকার বহন করবে। এ ছাড়া ফাইভ–জি উপযোগী করতে ‘বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক’ শিরোনামে ১ হাজার ৫৯ কোটি টাকার একটি এবং ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের সাঁতার শেখানোর জন্য ২৭১ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
সব মিলিয়ে একনেক সভায় ৮ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।