রডের দাম কমাতে ৫ দফা সুপারিশ
এমএস রডের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে রড ব্যবহারকারীরা। তারা বলছে, রডের অস্বাভাবিক এ মূল্যবৃদ্ধি থামাতে না পারলে সরকারের নির্মাণকাজ স্থবির হয়ে পড়বে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নও ব্যাহত হতে পারে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রড ব্যবহারকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রির (বিএসিআই) নেতারা। রডের দাম কমাতে তাঁরা পাঁচ দফা সুপারিশও করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক মাসের ব্যবধানে এমএস রডের দাম ২৫-৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বিএসিআইয়ের নেতারা বলছেন, হঠাৎ কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই রডের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। এতে করে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই দাম নিয়ন্ত্রণে পাঁচ দফা সুপারিশ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এসব সুপারিশের মধ্যে রয়েছে পিপিআর অনুযায়ী দাম সমন্বয়ের ব্যবস্থা চালু, সরকারি কাজের মূল্য সমন্বয় করা, সব ধরনের শুল্ক-কর সমন্বয় করা, সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে অতি দ্রুত শুল্কবিহীন রড আমদানির উদ্যোগ নেওয়া ও বর্তমান বাজারদরের ভিত্তিতে গণপূর্তের কাজের মূল্য হালনাগাদ করা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান নির্মাণ খাত, তথা কনস্ট্রাকশন শিল্প দেশের পঞ্চম বৃহত্তম শিল্প খাত। মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে এ খাতের অবদান প্রায় সোয়া ১০ শতাংশ। দেশের সাড়ে তিন কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। কিন্তু হঠাৎ করে রডের মূল্যবৃদ্ধি এ শিল্পকে বড় ধরনের হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।