বাণিজ্য মেলায় চার দিনে দর্শনার্থী মাত্র ৩০ হাজার
ক্রেতাখরার মধ্যেই প্রথম সপ্তাহ পার করছে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)। ১ জানুয়ারি থেকে রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী এই মেলা। তবে মেলার প্রথম চার দিনে মোট উপস্থিতি ছিল মাত্র ৩০ হাজার। মেলাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আগামী শুক্রবার থেকে এই সংখ্যা বাড়তে পারে।
মেলার প্রবেশপথের বা গেটের ইজারা নেওয়া প্রতিষ্ঠান মীর ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান জানান, ঢাকার আগারগাঁওয়ের তুলনায় এবারের মেলায় উপস্থিতি অনেক কম। মেলার প্রথম দিন ছিল শনিবার। সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় ওই দিন প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মানুষ টিকিট কেটে মেলায় প্রবেশ করেন। এটাই এখন পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ উপস্থিতি। এরপরের তিন দিনে উপস্থিতি খুবই কমে যায়। এর মধ্যে গত রোববার মেলার দ্বিতীয় দিনে উপস্থিতি ছিল প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। সোমবার উপস্থিতি ছিল সর্বনিম্ন চার হাজার এবং গতকাল মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে মাত্র আট হাজার ক্রেতা-দর্শনার্থী টিকিট কেটে মেলায় প্রবেশ করেছেন।
সাইদুর রহমান আরও বলেন, ক্রেতা-দর্শনার্থীরা এখনো সেভাবে আসতে শুরু করেননি। মেলার স্থান পরিবর্তনের কারণে ঢাকা শহর থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি এখনো বেশ কম। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে ক্রেতা-দর্শনার্থী বাড়তে পারে বলে আশা করছেন তিনি।
মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের কম উপস্থিতি নিয়ে বড় কোম্পানিগুলো চিন্তিত না হলেও ছোট ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন। তাঁরা বলছেন, মেলা অংশ নিতে তাঁদের যে খরচ হয়েছে, এ রকম উপস্থিতি থাকলে সেই খরচ উঠে আসবে কি না, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা তাঁদের। মেলায় অংশ নেওয়া কুষ্টিয়ার নুরুল টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপক আবদুর রহিম বলেন, ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় বিক্রিও কম। এ অবস্থা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে এত দূর থেকে মেলায় এসে লাভের বদলে আর্থিক ক্ষতি হবে। অন্যদিকে, ওয়ালটন কিংবা মিনিস্টারের মতো বড় কোম্পানিগুলো বলছে, মেলায় দর্শনার্থী কম হলেও মেলাকে কেন্দ্র করে ব্র্যান্ডের ভালো প্রচারণা চালানো যাচ্ছে। ফলে মেলায় বিক্রি কম হলেও রাজধানীতে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বিক্রয়কেন্দ্রে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছেন বড় কোম্পানিগুলোর বিক্রয়কর্মীরা।
এদিকে, আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলায় অংশ নেওয়া বেশ কিছু স্টলের প্রস্তুতি এখনো শেষ হয়নি। মেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বা ইপিবির কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী শুক্রবারের মধ্যেই সব স্টলের কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়ে যাবে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, মেলার সব স্টলের কাজ আমরা করে দিতে চেয়েছি। তবে মেলায় অংশ নেওয়া অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব ডিজাইনার দিয়ে স্টল করতে চেয়েছে। তাদের অনেকেই মেলা শুরুর আগে প্রস্তুতি শেষ করতে পারেনি।