বিজিএপিএমইএর নির্বাচনে জয়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল
তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মোড়ক পণ্য সরবরাহকারী কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএপিএমইএর নির্বাচনে ঐক্য পরিষদ প্যানেল বিজয়ী হয়েছে। সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের ২১ পদের মধ্যে ঐক্য পরিষদের ১৪ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। বাকি ৭ পদে বিজয়ী হয়েছেন অ্যাকটিভ মেম্বার্স ইউনিয়ন প্যানেলের প্রার্থী।
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় গতকাল শনিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ৪৬০ জন ভোটারের মধ্যে ৪২৫ জন ভোট দেন। ভোট গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. রাজ্জাকুল ইসলাম।
প্রায় ৩৩ বছর আগে বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন পায় বিজিএপিএমইএ। এরপর সাতজন সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের প্রত্যেকেই সমঝোতার ভিত্তিতে পর্ষদ গঠন করায় কখনোই ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি সাধারণ সদস্যরা। অবশ্য বাণিজ্য সংগঠনটির সর্বশেষ কমিটির কয়েকজন নেতার দ্বন্দ্বের কারণে সমঝোতায় নেতৃত্ব নির্বাচনের পরিবর্তে এবারে ভোট হয়েছে।
নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২১ পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪২ জন প্রার্থী। তাঁরা দুটি প্যানেলের অধীন নির্বাচন করেন। প্যানেল দুটি ছিল ঐক্য পরিষদ ও অ্যাকটিভ মেম্বার্স ইউনিয়ন। ঐক্য পরিষদ প্যানেলের নেতৃত্ব ছিলেন সংগঠনের সাবেক পরিচালক ও আদজি ট্রিমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহরিয়ার। আর অ্যাকটিভ মেম্বার্স ইউনিয়ন প্যানেলের নেতৃত্ব দেন পলি প্ল্যান লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাছিরুল আলম।
নির্বাচনে ঐক্য পরিষদ প্যানেলের প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ২৮৬ ভোট। আর এই প্যানেলের প্যানেল লিডার মো. শাহরিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫৭ ভোট পেয়েছেন।
ঐক্য পরিষদ বিজয়ী অন্য প্রার্থীরা হলেন ঢাকা অঞ্চলের কাজী ফাহাদ, মো. ফিরোজ উদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম, জহিরউদ্দিন মো. বাবর, মোজাহারুল হক, এ টি এম কামরুজ্জামান, কাজী আশরাফুল হক, মো. আতিকুর রহমান, মোবারক উল্লাহ মজুমদার ও মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। আর এই প্যানেলের চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে জয়ী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরী ও বেলাল উদ্দিন।
অন্যদিকে অ্যাকটিভ মেম্বার্স ইউনিয়ন প্যানেলের লিডার মো. নাছিরুল আলম জয়ী হয়েছেন। ঢাকা অঞ্চল থেকে এই প্যানেলের এ কে এম মোস্তফা সেলিম, মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও জামিল আহমেদ জয়ী হয়েছেন। আর চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে জয়ী হয়েছেন মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আবদুল ওয়াজেদ ও মোহাম্মদ বেলাল।