বিদেশি বিনিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ করলে কেউ আসবে না

চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন শেষে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল চত্বরে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম বন্দরেছবি: জুয়েল শীল

নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থ ছাড়া আমরা কোনো বিদেশি বিনিয়োগ নিচ্ছি না। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরের (সৌদি আরবের আরএসজিটিআই) হাতে দেওয়া হলেও বন্দর আয় করছে। কনটেইনারপ্রতি ১৮ ডলার আয় হচ্ছে। সেটা বন্দরের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এখন কারও না কারও স্বার্থে এসব বিদেশি বিনিয়োগ প্রশ্নবিদ্ধ করলে বাইরের কেউ (বিনিয়োগকারী) আসবে না।’

আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন শেষে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল চত্বরে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান, বন্দর পর্ষদের সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নতুন করে নিউমুরিং টার্মিনালে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘যে–ই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, খুব স্বচ্ছ হবে। আপনারা অপেক্ষা করেন। বন্দরের জন্য ভালো হলে এবং বন্দরের আয় বেশি হলে, আমরা বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে চিন্তা করব। টার্মিনালের কর্মীদের সমস্যা যাতে না হয়, সেটিও দেখা হবে। পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে আমাদের লোকজনই কাজ করছে।’

চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল চত্বরে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
ছবি: জুয়েল শীল

পতেঙ্গা টার্মিনাল সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল অপারেশনকে বা আরএসজিটিআইকে দেওয়া নিয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, এই টার্মিনালে আড়াই হাজার কোটি টাকা বন্দর বিনিয়োগ করেনি। বিনিয়োগ করেছে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এই বিনিয়োগ করে টার্মিনাল থেকে বন্দরের ২২ বছরে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা আয় হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার টার্মিনাল
ছবি: প্রথম আলো

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিগত দিনে বন্দরে অনেক অনিয়ম হয়েছে। নানা জনের নামে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। সবই আমাদের নজরে আছে। অনিয়ম–দুর্নীতি দূর করতে এখন থেকে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে (ডিপিএম মেথডে) কোনো দরপত্র আহ্বান করা হবে না। সব কাজই হবে উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে। এ জন্য দরপত্রের শর্তগুলো আমরা পর্যালোচনা করব, যাতে নির্দিষ্ট কারও কাছে যাতে না যায়। সরাসরি ক্রয়পদ্ধতি হবে শুধু সরকার টু সরকারি পর্যায়ে। সেটাও পর্যালোচনা করে নেওয়া হবে।’