বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্পমালিক সমিতি নামে নতুন সংগঠনের যাত্রা শুরু
দেশে সেমিকন্ডাক্টর বা মাইক্রোচিপ শিল্প খাতের মালিকেরা একটি নতুন সংগঠন গড়ে তুলেছেন। এটির নাম দিয়েছেন বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর শিল্প সমিতি (বিএসআইএ)। সম্প্রতি নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনটির নয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নির্বাচনে ২০২৪-২৭ সাল মেয়াদে সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নিউরাল সেমিকন্ডাক্টর লিমিটেড ও ডিবিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ জব্বার। জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মার্স সলিউশন লিমিটেডের এমডি এম ই চৌধুরী শামীম।
এ ছাড়া টিটন প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিজানুর মোহাম্মদ রহমান সহসভাপতি (প্রশাসন) ও ডায়নামিক সলিউশন ইনোভেটরসের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার মোজাহেদুল হক আবুল হাসানাত সহসভাপতি (অর্থ) নির্বাচিত হয়েছেন।
কমিটির বাকি পাঁচজন পরিচালক। তাঁরা হলেন তাহো প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি ও সিইও আলিয়া শাফকাত, মেট্রো সায়েন্টিফিকের এমডি মোহাম্মদ আলম, আইটেস্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক মুনির আহমেদ, বালু টেকনোলজিস লিমিটেডের এমডি কামরুল আহসান দেওয়ানজী এবং থিঙ্ক গ্লোবাল লিমিটেডের সিইও আশিকুর রহমান তানিম।
সেমিকন্ডাক্টর শিল্প সমিতির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি এম এ জব্বার বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের অগ্রগতি ও বৈশ্বিক প্রযুক্তিগত প্রবণতার সঙ্গে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সারিবদ্ধ করার ক্ষেত্রে এই সংগঠন কাজ করবে। বিএসআইএ দেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের উদ্ভাবন, বৃদ্ধি ও সহযোগিতাকে উৎসাহিত করবে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে একটি প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
বিএসআইএর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেমিকন্ডাক্টর বা মাইক্রোচিপ উৎপাদন খাত বর্তমানে সারা বিশ্বে ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তি খাতে একটি দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের বাজার প্রায় ৬৩০ বিলিয়ন বা ৬৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের। এ বাজার আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ বেড়ে ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর নকশা ও অন্যান্য সহযোগী ব্যবসা থেকে ৯ মিলিয়ন ৯০ লাখ মার্কিন ডলার আয় হয়। ২০৩০ সালের মধ্যে এই আয় বেড়ে ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এ খাতে ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।