যশোর অঞ্চলের সর্ববহৎ চামড়ার হাট যশোরের রাজারহাটে ঈদ–পরবর্তী দ্বিতীয় হাটের দিন আজ শনিবার জমজমাট কেনাবেচা হয়েছে। প্রথম হাটের তুলনায় দ্বিতীয় হাটের দিনে চামড়ার কিছুটা দরপতন ঘটেছে। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়েছেন।
হাটের আড়তদার গিয়াস উদ্দীন পিস হিসেবে ২১৩টি গরুর চামড়া কিনেছেন। ২০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে মৌসুমি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই চামড়া কিনেছেন তিনি। এ ছাড়া চার টাকা দরে ৪৮টি ছাগলের চামড়া কিনেছেন। হাটে তিনি ২৩৪টি (গড়ে ৩৫ ফুটের প্রতিটি) গরুর চামড়া ১ হাজার ২৫০ টাকা দরে ঢাকার ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করেন।
গিয়াস উদ্দীন বলেন, প্রথম হাটের তুলনায় আজকের হাটে চামড়া বেশি উঠলেও দরপতন ঘটেছে। ঢাকার ট্যানারিমালিকেরা সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়েছেন। এতে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা লোকশানের মুখে পড়ছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, শনিবার কোটি টাকার চামড়ার হাতবদল হয়েছে। সব মিলিয়ে অন্তত ২০ হাজার গরু ও ১০ হাজারের মতো ছাগলের চামড়া বেচাকেনা হয়।
হাটে আসা একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, ঈদ–পরবর্তী প্রথম হাটের দিনের তুলনায় দ্বিতীয় হাটের দিনে চামড়ার ন্যায্য দাম না পেয়ে তাঁরা হতাশ। সরকার নির্ধারিত দামেও চামড়া বিক্রি করতে পারনেনি তাঁরা। যে কারণে তাঁদের খরচ ওঠেনি।
গোপালগঞ্জ থেকে হাটে চামড়া নিয়ে আসা জয় পোদ্দার বলেন, ৫০০টি চামড়া কিনেছিলাম। তার মধ্যে ২০০টি গরু ও ১০০টি ছাগলের চামড়া এনেছি হাটে। গরুর চামড়া ৭০০ টাকা ও ছাগলের চামড়া ২০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। প্রতিটি গরুর চামড়ায় খরচ বাদ দিয় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে লোকসান হয়েছে।
অবশ্য হাটের ইজারাদার হাসানুজ্জামান বলেন, সরকার নির্ধারিত দামেই ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনেছেন। ক্ষুদ্র বিক্রেতারা বেশি দামে চামড়া কিনলে লোকসান তো হবেই।