ফল আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি আমদানিকারকদের

তাজা ফল আমদানিতে শুল্ক হার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর কারণে ফলের ব্যবসা করা এখন কঠিন হয়ে গেছে। প্রতি চালানে আমদানিকারকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

পুরান ঢাকার বাদামতলীতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগে দিনে এক ট্রাক ফল বিক্রি হতো। এখন এক ট্রাক ফল বিক্রিতে ৩–৪ দিন সময় লাগছে। গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে সরকার। উচ্চ শুল্ক হারের কারণে দেশের বাজারে ফলের দাম বেড়েছে। সাধারণ ভোক্তাদের ওপর যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে এ বিষয়ে অংশীজনদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান শুল্ক–কর কাঠামো ও ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের ফল আমদানির চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, তাজা ফল আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেছে। এর মধ্যে আপেল আমদানি কমেছে প্রায় ৫২ শতাংশ। একইভাবে মাল্টা ৭১ ও আঙুর আমদানি ২৯ শতাংশ কমেছে। উচ্চ শুল্কের কারণে একদিকে বৈধ পথে আমদানি কমছে অন্যদিকে অবৈধপথে আমদানি উৎসাহিত হতে পারে। তাতে ভোক্তা স্বার্থ শুধু ক্ষুণ্ন হবে না বরং ভবিষ্যতে আমদানি থেকে রাজস্ব আয়ও কমবে।

সংবাদ সম্মেলনে সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, দেশে ফল উৎপাদন হয় চাহিদার ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। বাকি ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ ফল বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়। সাধারণত ব্যবসায়ীরা ব্যাংকঋণের মাধ্যমে ব্যবসা করেন। বর্তমানে ব্যাংকের সুদহারও বেশি। পাশাপাশি উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ডলারের দামও বাড়তি। এসব কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক ফল আমদানি হচ্ছে। এ অবস্থায় ফল আমদানি বাড়াতে শুল্ক–কর কমানোর দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস, সদস্য নাজিম উদ্দীন প্রমুখ।