বিজিএমইএর নতুন সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব
তৈরি পোশাকশিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডিজাইন টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খন্দকার রফিকুল ইসলাম। জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হয়েছেন টিম গ্রুপের এমডি আবদুল্লাহ হিল রাকিব।
আজ শনিবার রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভায় সংগঠনটির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২০২৪-২৬ মেয়াদে বিজিএমইএর সভাপতি হয়েছিলেন সেহা ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও ঢাকা মহানগর (উত্তর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান। তবে ৫ আগস্ট থেকে তিনি বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
এস এম মান্নান সম্প্রতি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার জরুরি সভা করে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এস এম মান্নানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়। এরপর সভায় খন্দকার রফিকুল ইসলামকে বিজিএমইএর নতুন সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি সংগঠনের ২০২৪-২৬ সাল মেয়াদে বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে ছিলেন।
বিজিএমইএর নতুন জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি করা হয়েছে আবদুল্লাহ হিল রাকিবকে, তিনি এত দিন সহসভাপতি ছিলেন।
খন্দকার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বিজিএমইএর পুনর্গঠিত পর্ষদের সদস্যরা হলেন প্রথম সহসভাপতি চট্টগ্রামের ওয়েল গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি টিম গ্রুপের এমডি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, সহসভাপতি তুসুকা ফ্যাশনসের চেয়ারম্যান আরশাদ জামাল, সাদমা ফ্যাশনওয়্যারের এমডি মো. নাছির উদ্দিন, বিটপি গ্রুপের এমডি মিরান আলী, উর্মি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আশরাফ ও এইচকেসি অ্যাপারেলসের এমডি রকিবুল আলম চৌধুরী।
৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করেন। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পটভূমিতে সম্প্রতি বিজিএমইএর নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবি তোলেন ব্যবসায়ীদের একটি অংশ। তাঁরা বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানান।
১৯ আগস্ট বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট ফোরাম সংগঠনটির পর্ষদ ভেঙে অন্তর্বর্তী পর্ষদ গঠন, স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে চিঠি দেয়।
ফোরামের মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনী ওই চিঠিতে দাবি করেন, বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপের কারণে অন্যান্য বাণিজ্য সংগঠনের মতো বিজিএমইএও এক দশকের বেশি সময় ধরে স্বতন্ত্র ও গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হয়নি। ভুয়া ভোটার ও জাল ভোট প্রদান এবং বহিরাগত দলীয় সন্ত্রাসী দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে নির্বাচন নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে।
ওই চিঠি দেওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় বিজিএমইএর পর্ষদ পুনর্গঠন করা হলো।