৪৩% সিইও মনে করেন বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে ভারত
বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ সিইও বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনে করেন, চলতি বছরে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমবে। এর বিপরীতে ৩৬ শতাংশ সিইও মনে করেন, এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এ ছাড়া বাংলাদেশের ৫৭ শতাংশ সিইওর মতে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা চললে আগামী ১০ বছর পর্যন্ত তাঁরা ব্যবসায়ে টিকে থাকতে পারবেন। আর ৪০ শতাংশ সিইও মনে করেন, এভাবে চললে ১০ বছরের বেশি সময় তাঁদের ব্যবসা টিকে থাকবে।
বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারসের (পিডব্লিউসি) সিইও জরিপে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা এসব মতামত দিয়েছেন। আজ শনিবার রাতে পিডব্লিউসির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জরিপের তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, বৈশ্বিক জরিপের অংশ হিসেবেই বাংলাদেশেও তারা জরিপ করেছে। গত বছরের ২ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের ১০৫টি দেশ ও অঞ্চলের ৪ হাজার ৭০২ জন সিইওর ওপর এ জরিপ করা হয়। তাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২ জন সিইও নিজেদের মতামত দেন। সিইওদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে জরিপটি করা হয়।
জরিপে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি সিইওদের কাছে পিডব্লিউসি জানতে চেয়েছিল, আগামী এক বছর তাঁদের কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোন তিনটি দেশ বা অঞ্চল বড় ভূমিকা রাখবে? জবাবে সর্বোচ্চ ৪৩ শতাংশ সিইও জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকবে ভারতের। ৪০ শতাংশের মতে, দ্বিতীয় শীর্ষ ভূমিকা রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। আর ২৯ শতাংশ সিইও মনে করেন, তৃতীয় শীর্ষ ভূমিকা রাখবে চীন।
জরিপে জানতে চাওয়া হয়েছিল, আগামী তিন বছরের মধ্যে কোন ধরনের পরিবর্তন কোম্পানিগুলোর ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলবে? এর জবাবে বাংলাদেশের ৬৭ শতাংশ সিইও জানিয়েছেন, ভোক্তার অগ্রাধিকার পরিবর্তনই আগামী তিন বছরে ব্যবসায়ে বড় প্রভাব ফেলবে। ৬৪ শতাংশ সিইও বলেন, সরকারের বিধিবিধান ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব রাখবে। আর ৬০ শতাংশ সিইও মনে করেন, প্রযুক্তির পরিবর্তনই এ সময়ে ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলবে।
জরিপের বিষয়ে পিডব্লিউসি বাংলাদেশের পরিচালক অরিজিৎ চক্রবর্ত্তী বলেন, বাংলাদেশের সিইওদের অনেকে মনে করেন যে ব্যবসায়ের রূপান্তর না হলে আগামী ১০ বছরের মধ্যে তাঁরা প্রাসঙ্গিকতা হারাবেন।
জরিপের বিষয়ে পিডব্লিউসি বাংলাদেশের মার্কেটস লিডার মামুন রশীদ বলেন, বাংলাদেশের সিইওরা সাফল্যের সঙ্গে তাঁদের ব্যবসার স্বল্পকালীন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও দীর্ঘমেয়াদি সুযোগের সদ্ব্যবহার করে চলেছেন। সেই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুযায়ী প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসায়ের রূপান্তরে নেতৃত্বে দিচ্ছেন।