বিজিএমইএর নির্বাচনে ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান

বিজিএমইএর আগামী পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রাইজিং ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহমুদ হাসান খানকে প্যানেল লিডার বা দলনেতা হিসেবে চূড়ান্ত করেছে সংগঠনটির নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট ফোরাম। এর আগে তিনি তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি ছিলেন।

রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আজ বুধবার রাতে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নতুন প্যানেল লিডার হিসেবে মাহমুদ হাসান খানকে পরিচয় করিয়ে দেন ফেরাম নেতারা। অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা, আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ ও রুবানা হক, বিজিএমইএর সাবেক সহসভাপতি ফয়সাল সামাদ, বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক, ফোরামের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক রশীদ আহমেদ হোসাইনী প্রমুখ। ফোরামের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে ফোরাম নেতারা বলেন, তৈরি পোশাকশিল্প এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে দরকার সাহসী ও দক্ষ নেতার। কার্ডধারী নেতা দিয়ে সংকট উত্তরণ করা যাবে না। এ খাতের প্রয়োজনও বুঝতে হবে।

ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বলেন, তাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন চান। একই সঙ্গে যাঁরা উদোক্তা ও সংগঠনটির সদস্য তাঁরাই যাতে ভোটার থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনের আগে একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে প্রশাসককে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের যাতে রাস্তায় নামতে না হয় নির্বাচিত হলে সেটি নিশ্চিতে গুরুত্ব দেবেন। মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়ন তাঁর অগ্রাধিকারে থাকবে।

গত ২০ অক্টোবর বিভিন্ন অভিযোগে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পর্ষদ ভেঙে ১২০ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পর্ষদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে প্রশাসক নিয়োগ করে মন্ত্রণালয়। প্রশাসকের দায়িত্ব পান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন। এখনো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়নি।

বিজিএমইএর নির্বাচনকেন্দ্রিক দুই জোট সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম। গত ১৫ বছরে একবার ছাড়া সব মেয়াদেই সম্মিলিত পরিষদ সংগঠনটির নেতৃত্ব দিয়েছে। সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান। প্রভাবশালী এই জোট গত মার্চের নির্বাচনে সবগুলো পদে বিজয়ী হয়। সভাপতি হন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান। যদিও ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তাঁকে আরও দেখা যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও হয়েছে।