অতিরিক্ত বন্দর মাশুল মওকুফ করার সিদ্ধান্ত

দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়েক দিন বন্ধ ছিল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। তাতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবোঝাই কনটেইনারের স্তূপ জমে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল এলাকায়ছবি: সৌরভ দাশ

বর্তমান পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে থাকা পণ্য খালাসে বিলম্বের কারণে আমদানিকারকদের অতিরিক্ত বন্দর চার্জ বা মাশুল মওকুফের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সচিবালয়ে আজ রোববার তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নানের নেতৃত্বে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমনটাই জানান। তার আগে মাশুল মওকুফের অনুরোধ করেন বিজিএমইএর নেতারা। সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে ছিলেন প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী এবং পরিচালক আশিকুর রহমান ও মো. মহিউদ্দিন রুবেল।

দেশে চলমান পরিস্থিতি ও কারফিউ এবং বন্দর ও কাস্টমসের সার্ভারে অনলাইন সংযোগ না থাকার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য আনলোডিং ব্যাহত হওয়ায় পোশাক রপ্তানিকারকেরা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য খালাস করতে সক্ষম হননি। এ পরিস্থিতিতে বন্দরে কনটেইনার জট সৃষ্টি হওয়ায় প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী বন্দরে আটকে যাওয়া আমদানি পণ্য খালাসে অতিরিক্ত মাশুল অর্পিত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পাদন ও নির্ধারিত সময়ে পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা করার জন্য পোশাক খাতের অপেক্ষমাণ কনটেইনার দ্রুততার সঙ্গে অতিরিক্ত বন্দর মাশুল ছাড়া খালাসের অনুরোধ জানান বিজিএমইএ নেতারা।

বিজিএমইএর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরে বিপুলসংখ্যক আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার খালাসের অপেক্ষায় আছে। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ কনটেইনারই তৈরি পোশাকশিল্পের। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বন্দর মাশুল তৈরি পোশাকশিল্পের কোম্পানির ওপর ধার্য করা হয়েছে।