৫২ বস্ত্রকলের ৪২২ কোটি টাকা আটকা ব্যাংকে
ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে পণ্য সরবরাহ করার পর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও ৫২টি বস্ত্রকলের ৩ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার বা দেশীয় মুদ্রায় ৪২২ কোটি টাকা পরিশোধ করছে না ব্যাংক। এতে বস্ত্রকলগুলোর কোনো কোনোটি তারল্যসংকটে পড়েছে। বাকিগুলোও সংকটে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারকে দেওয়া চিঠিতে এই অভিযোগ করেছেন বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে বাণিজ্য সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বিটিএমএর সভাপতি বলেন, ১১ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকে বিটিএমএর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তখন বিটিএমএর নেতারা গভর্নরকে জানান, বস্ত্রকলগুলো ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে চাহিদামতো পণ্য সরবরাহ করার পর বিল দেওয়ার নির্ধারিত সময় পার হলেও কিছু ব্যাংক অর্থ পরিশোধ করছে না। বিভিন্ন অজুহাতে এসব ব্যাংক বস্ত্রকলগুলোর পাওনা পরিশোধ করা থেকে বিরত থাকছে। যদিও তার জন্য বস্ত্রকলগুলো কোনোভাবেই দায়ী নয়। বিষয়টিকে আমলে নিয়ে গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংককে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করতে বলেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিটিএমএ সভাপতি বস্ত্রকলের সুতা ও কাপড়ের অপরিশোধিত পাওনা অর্থের বিস্তারিত তথ্যসহ চিঠি দেন। সেই চিঠিতে সভাপতি বলেন, বিটিএমএর সদস্যভুক্ত বস্ত্রকলের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৫২ বস্ত্রকলের প্রায় ৩ কোটি ৫৫ লাখ ৫৮ হাজার ৬৭৮ ডলারের সরবরাহ করা পণ্যের বিলের ম্যাচুরিটি ডেট পার হলেও পরিশোধ করা হয়নি। বিপুল অঙ্কের বিল অপরিশোধিত থাকায় বস্ত্রকলের কেউ কেউ তারল্যসংকটের মধ্যে পড়েছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে বকেয়া অর্থ পরিশোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরের প্রতি অনুরোধ জানান।