পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে পরিমাণ তেমন বাড়েনি, দাম বেড়েছে। ২০২০ সালে বন্যার কারণে ৪৫ শতাংশ পাঠ নষ্ট হয়। এর ফলে তখন পাটের দাম বেড়ে যায়। গত বছর বন্যা হয়নি, পাটের উৎপাদন ভালো হয়েছে। পাটের দামও বেড়েছে। তাই আমরা বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বেশি দাম চাইতে পেরেছি। কোভিডের কারণে সবাই ঘরমুখী হয়েছে। পাটজাত পণ্য কিনতে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তাই বিদেশে পাটজত পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। এসব কারণে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।
কাঁচা পাটের চেয়ে পাটজাতপণ্যের দিকে বেশি মনোযোগী হতে হবে। কারণ, পাটজাত পণ্যে মূল্যসংযোজন বেশি হয়। সঠিকভাবে পাটজাত পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ করে রপ্তানি করতে পারলে প্রতি বছর ৩০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। বর্তমানে পাটজাত পণ্যের নির্দিষ্ট কোনো এইচএস কোড নেই। ফলে রপ্তানি প্রক্রিয়ায় নানা সমস্যা হয়। এ ছাড়া বর্তমানে এ খাতের ৮০ শতাংশ রপ্তানি হয় কাঁচা পাট। রপ্তানি ঝুড়িতে কাঁচা পাটের চেয়ে পাটজাত পণ্যের অংশ বাড়াতে হবে।