ভারতসহ ছয় দেশ থেকে আমদানি হবে ২১ লাখ টন জ্বালানি তেল
ভারতসহ ৬ দেশ থেকে ২১ লাখ টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হচ্ছে। ভারত ছাড়া অন্য যেসব দেশ থেকে জ্বালানি আমদানি করা হচ্ছে, সেগুলো হলো ইন্দোনেশিয়া, আরব আমিরাত, চীন, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড। এর মধ্যে ২০ লাখ ৪০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল ও ৬০ হাজার টন ডিজেল। এতে ব্যয় হবে ১৮ হাজার ৭৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এ বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য এ তেল কেনা হবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আজ বুধবার ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে দুটি আলাদা প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।
সাঈদ মাহবুব খান বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মাধ্যমে এ জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। ছয় দেশের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে আটটি। ভারত ও চীনের রয়েছে দুটি করে প্রতিষ্ঠান।
সাঈদ মাহবুব খান জানান, একটি প্রস্তাবে রয়েছে ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ৬০ হাজার টন ডিজেল আমদানি। এতে ৫৪৫ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
এ ছাড়া ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসিএল), চীনের পেট্রোচীনা ও ইউনিপ্যাক, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি, আরব আমিরাতের ইএনওসি ও থাইল্যান্ডের পিটিটিটি।
ভারতের আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি গত ২০ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আগামী বছর পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হবে।
একই দিন ভারতের ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া থেকে আমদানি করা জ্বালানি তেল পরিশোধন করে বাংলাদেশে রপ্তানির উপায় খুঁজছে ভারত। ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে তেল আনতে ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চলছে। রাশিয়ার তেল ভারতে পরিশোধন করে এ পাইপলাইন দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি হতে পারে।
এবারের জ্বালানি তেল রাশিয়া থেকে ভারত হয়ে আসছে কি না, তা নিয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু বলেননি সাঈদ মাহবুব খান।