এলাচির দাম কেজিতে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা বেড়েছে
বাজারে এলাচির দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। এক মাসের ব্যবধানে ধরনভেদে প্রতি কেজি এলাচির দাম ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাচি ছাড়াও কাজু ও কাঠবাদাম এবং কালিজিরার দাম বেড়েছে। তবে অন্যান্য মসলাপণ্য আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এলাচি দেশে উৎপাদিত হয় না; প্রধানত গুয়াতেমালা ও ভারত থেকে আমদানি হয়। তবে চলতি বছর দেশ দুটিতে এলাচির উৎপাদন কমায় বর্তমানে বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম বাড়তি। এর প্রভাবে দেশেও এটির দাম বেড়েছে।
পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক মাস আগে মানভেদে প্রতি কেজি ছোট এলাচির দাম ছিল ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে সেই দাম বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৬০০ টাকা; অর্থাৎ খুচরায় প্রতি কেজি ছোট এলাচির দাম ৮০০ টাকা বেড়েছে। আর পাইকারিতে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
বড় এলাচির (কালো) দাম কেজিতে ৪০০ টাকা বেড়ে ৩ হাজার টাকায় উঠেছে, যা এক মাস আগে ২ হাজার ৬০০ টাকা ছিল।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তালিকায় অবশ্য এলাচির মূল্যবৃদ্ধির চিত্র সেভাবে দেখা যায় না। সংস্থাটির হিসাবে, গত এক মাসে ছোট এলাচির দাম সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা বেড়েছে। আর এক বছরের ব্যবধানে এলাচির দাম প্রায় ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।
মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের মসলার দোকান বিসমিল্লাহ বনাজি স্টোরের বিক্রেতা আল-আমিন জানান, এক মাসের মধ্যে কয়েক দফায় এলাচির দাম বেড়েছে। প্রতিবার পাইকারি বাজারে গেলেই দেখা যায়, আগের তুলনায় দাম বেশি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পাইকারি গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববাজারে এলাচির দাম এখন বাড়তি। সে কারণে দেশেও দাম বেড়েছে।
দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশে এলাচির চাহিদা কিছুটা কমেছে বলে জানান এনায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে পরিমাণে এলাচির মজুত এবং ঋণপত্র খোলা রয়েছে, তা দিয়ে আগামী রমজান মাস পর্যন্ত চলে যাবে বলে আশা করছি। তবে বাজারে চাহিদা বাড়লে ও নতুন করে আমদানি করা লাগলে এলাচির দাম কিছুটা বাড়তে পারে।’
কাজু ও কাঠবাদামের দামও বেড়েছে
এদিকে এলাচির পাশাপাশি বাজারে কাজু ও কাঠবাদামের দাম বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি কাজুবাদাম বর্তমানে ১ হাজার ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা মাসখানেক আগে ১০০-১৫০ টাকা কম ছিল। বর্তমানে কাঠবাদামের কেজি ১ হাজার ১৮০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, যা আগে ৮০-১০০ টাকা কমে কেনা যেত।
এ ছাড়া কালিজিরার দাম কেজিতে ৫০-৮০ টাকা বেড়েছে। ফলে প্রতি কেজি কালোজিরা বর্তমানে ৪০০-৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে অন্যান্য মসলাপণ্য আগের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে। যেমন প্রতি কেজি জিরা ৬৮০-৭০০ টাকা, দারুচিনি ৫০০, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০–১ হাজার ৬০০, ধনে ২২০-২৫০, তেজপাতা ১৮০-২০০, শুকনা মরিচ ৩৫০-৪০০ ও হলুদ ৩২০-৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এখন ধনে, তেজপাতা ও দারুচিনির দাম বেশি। তবে জিরা ও লবঙ্গের দাম কম।