মালয়েশিয়ায় পাম তেলের মজুত আরও কমেছে, উৎপাদন কমবে ডিসেম্বরেও
মালয়েশিয়ার পাম অয়েল বা পাম তেলের মজুত নভেম্বর মাসেও কমেছে। এ নিয়ে পরপর দুই মাস দেশটিতে পাম তেলের মজুত কমল। মালয়েশিয়ার পাম তেল শিল্প নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, গত চার বছরের মধ্যে নভেম্বরে এই পণ্যের উৎপাদন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, পাম তেলের মজুত কমে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে সরবরাহ করা হবে, এমন তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। গত আড়াই বছরের মধ্যে পাম তেলের দাম ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি পাম তেল উৎপাদিত হয়, মালয়েশিয়া সেই তালিকায় দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
মালয়েশিয়ান পাম তেল বোর্ড (এমপিওবি) জানায়, দেশটির পাম তেলের মজুত আগের মাসের তুলনায় নভেম্বরে ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ১৮ লাখ ৪০ হাজার টনে নেমে এসেছে। অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন প্রায় ১০ শতাংশ কমে ১৬ লাখ ২০ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে, যা মাসের ভিত্তিতে ২০২০ সালের পর সবচেয়ে কম। অন্যদিকে, পাম তেলের রপ্তানি ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ১৪ লাখ ৯০ হাজার টন হয়েছে।
মুম্বাইভিত্তিক তেলের দালালি প্রতিষ্ঠান সানভিন গ্রুপের গবেষণা বিভাগের প্রধান অনিলকুমার বাগানি বলেন, এমপিওবি যে পরিসংখ্যান দিয়েছে, তা বরং বাজারকে খানিকটা নিয়ন্ত্রণে রাখবে, কারণ, মজুত যতটা কমবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, তা ততটা কমেনি। মূলত রপ্তানি অনেকটা কম হওয়ার কারণেই এটা ঘটেনি।
অনিলকুমার বাগানি বলেন, যেসব দেশ পাম অয়েল বেশি আমদানি করে, সেসব দেশ থেকে নতুন আমদানি আদেশ যথেষ্ট পরিমাণে আসেনি। এর কারণ হলো, প্রতিদ্বন্দ্বী সয়াবিন তেলের তুলনায় পাম তেলের দাম এখন অনেকটাই বেশি।
পাম অয়েল সাধারণত সয়াবিন ও সূর্যমূখী তেলের চেয়ে কম দামে বিক্রি হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমানে এই দুই তেলের তুলনায় পাম তেল বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
প্রাথমিক যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে যে ডিসেম্বরে পাম তেলের উৎপাদন আরও কম হবে। মূলত অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে পাম তেলের উৎপাদন কমবে। তবে একই সঙ্গে রপ্তানিও কম বলে জানিয়েছেন দিল্লিভিত্তিক একটি ব্যবসা কেন্দ্রের ডিলার।
বিশ্ববাজার একই সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার বায়োফুয়েল কর্মসূচির দিকেও নজর রাখবে। এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে জানুয়ারি মাসে। এর ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই উৎপাদনকারী দেশ থেকে পাম তেল রপ্তানি কমে যেতে পারে।