আলু আমদানিতে শুল্ক রেয়াতের সময় বাড়ছে
আলু আমদানিতে শুল্ক রেয়াতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অংশীজনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘আলু আমদানিতে শুল্ক রেয়াতের মেয়াদ আরও এক থেকে দেড় মাস বৃদ্ধির জন্য আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) প্রস্তাব দেব।’তিনি আরও বলেন, শুল্ক রেয়াত দেওয়ার পর আলু আমদানির ঋণপত্র (এলসি) ভালোই খোলা হয়েছে। পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র খোলাও সন্তোষজনক।
এনবিআর গত ৪ সেপ্টেম্বর আলু আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধার প্রজ্ঞাপন জারি করে, যার মেয়াদ শেষ হয় গত ৩০ নভেম্বর। আলু আমদানিতে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ছিল। কমিয়ে তা ১৫ শতাংশ করা হয়। একই সঙ্গে আলু আমদানিতে যে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়। এখন আবার আলু আমদানিতে শুল্ক রেয়াতের মেয়াদ বাড়ানো দরকার বলে মনে করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে এনবিআরকে ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আলু আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধা বহাল রাখতে বলা হবে।
সূত্রগুলো জানায়, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আলুর মজুত এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বলা হয়, আবহাওয়ার নেতিবাচক প্রভাবে দেশে উৎপাদন মৌসুম এবার কিছুটা দেরিতে শুরু হবে। এদিকে বাজারেও যৌক্তিক দামে আলু সরবরাহ করা দরকার। শুল্ক রেয়াত সুবিধা বাড়ালেই আলু আমদানি ও সরবরাহ বাড়বে। তখন পণ্যটির দামও ঠিক থাকবে বলে মনে করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।