টিকটক নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতায় বাইডেনের দলের তিন নেতা

টিকটক
রয়টার্স

টিকটকের বিরুদ্ধে যেকোনো নিষেধাজ্ঞামূলক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিরোধিতার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির তিন আইনপ্রণেতা। একই সঙ্গে টিকটকের নির্মাতারাও একই দাবি জানিয়েছেন। গত বুধবার ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা তাঁদের এ অবস্থানের কথা জানান। খবর রয়টার্সের।

চীনা ভিডিও অ্যাপ টিকটক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোয় আলোচনা-সমালোচনা বহু দিন ধরেই চলছে। তবে সম্প্রতি সেই আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে।

জাতীয় নিরাপত্তার উদ্বেগের কারণ দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাপটি নিষিদ্ধের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় এসে সেই উদ্যোগ স্থগিত করেন।

প্রায় ১৫ কোটির বেশি আমেরিকান টিকটক ব্যবহার করেন। কিন্তু টিকটকের সমালোচকেরা আশঙ্কা করছেন, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহারকারীর তথ্য চীন সরকারের কাছে চলে যেতে পারে। চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন অ্যাপটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ হলো প্রতিষ্ঠানটি লাখ লাখ ব্যবহারকারীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করছে। এ কারণে অনেক মার্কিন আইনপ্রণেতাও দেশটিতে টিকটক নিষিদ্ধ চান।

এ নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনার মধ্যে সম্প্রতি মার্কিন ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাইডেন চীনা মালিকানা থেকে টিকটককে বিক্রি করে দিতে বলেছেন। অন্যথায় টিকটককে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে বলে জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

নিষেধাজ্ঞার ক্রমবর্ধমান আহ্বানের মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন হাউস এনার্জি অ্যান্ড কমার্স কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেবেন টিকটকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাও জি চিউ।

এই পরিপ্রেক্ষিতেই গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের তিন ডেমোক্র্যাট সদস্য টিকটকের পক্ষে নিজেদের অবস্থানের কথা জানান। তাঁরা বলেন, চীনা মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকের ওপর যেকোনো সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার তাঁরা বিরোধিতা করেন। এই তিন আইনপ্রণেতা হলেন—জামাল বোম্যান, মার্ক পোকান ও রবার্ট গার্সিয়া। সংবাদ সম্মেলনে টিকটকের নির্মাতারাও ছিলেন।
জামাল বোম্যান বলেন, ‘কেন আতঙ্কের কথা বলে শুধু টিকটককে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে? বরং আসুন আমরা সঠিক জিনিসটি করি। যেহেতু বিষয়টি গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়েই ব্যাপক সংস্কার নীতিমালা করা যেতে পারে।’

এর আগে সরকারি যেকোনো ডিভাইসে চীনা ভিডিও অ্যাপ টিকটকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য সরকার। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডও আইনপ্রণেতাদের ব্যবহৃত ডিভাইস থেকে টিকটক তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। একই পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।