বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আগেই লিটারে ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। গত ২৫ এপ্রিল থেকে কোম্পানিগুলো ভোজ্যতেলের এ মূল্যবৃদ্ধি করে। বাজারে মূল্যবৃদ্ধির এক সপ্তাহ পর এসে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ৫ টাকা নয়, লিটারে দাম বাড়ানো যাবে ২ টাকা। অ্যাসোসিয়েশনের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বাজারে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ৩ টাকা করে কমবে।
ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ সোমবার জানানো হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ঈদ পর্যন্ত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২ টাকা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে তারা। সে অনুযায়ী বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারের ৩ টাকা কমে হবে ১৪১ টাকা।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দাম বাড়ানোর ঘোষণার চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ১৪৪ টাকা নির্ধারণের কথা বলা হয়। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যারিফ কমিশন থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা বা সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। ফলে, ২৫ এপ্রিল থেকে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। দাম বাড়ানোর এক সপ্তাহ পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ৫ টাকা নয়, দাম বাড়ানো যাবে ২ টাকা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, মন্ত্রণালয় নিয়মিতভাবে দেশীয় উৎপাদন, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি আমদানি পরিস্থিতি এবং স্থানীয় বাজার পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে। গত বছর জুন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম অস্থিতিশীল থাকায় এবং দেশের চাহিদার ৯৫ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি হওয়ায় তেলের দাম বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির তুলনায় দেশে সয়াবিন তেলের দাম তুলনামূলক কম বেড়েছে। তারপরও পবিত্র রমজান ও আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিন তেল উৎপাদন ও বিপণন প্রতিষ্ঠানগুলোকে লিটারে ৩ টাকা কম রাখার পরামর্শ দেয়।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে লিটারে ৫ টাকা দাম বাড়ানোর আবেদন করেছিল। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমরা লিটারে ২ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধির অনুমতি দিয়েছি।’