২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

ঢাকায় ইব্রাহিম খালেদের জানাজা সম্পন্ন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের প্রথম ও দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গোপালগঞ্জে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে। আজ বুধবার সকাল পৌনে ছয়টার দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ছিলেন কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলার পরিচালক। বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচা ভবনে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে বাদ জোহর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দুই জানাজায় সংস্কৃতি অঙ্গন, বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ও তাঁর শুভানুধ্যায়ীরা অংশ নেন। গোপালগঞ্জ শহরে তৃতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আজ তাঁকে দাফন করা হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অসুস্থ অবস্থায় খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে গত রোববার বিএসএমএমইউর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে তাঁকে সেখানে নেওয়া হয়। করোনায় সংক্রমিত হয়ে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর আরও নানা সমস্যা ধরা পড়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সোনালী, অগ্রণী ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারের পতনের কারণ অনুসন্ধানে সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন তিনি।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ১৯৪১ সালে গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৬৩ সালে ব্যাংকিং পেশায় যুক্ত হন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) শিক্ষকতা পেশার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ইব্রাহিম খালেদ ব্যক্তি হিসেবে ছিলেন নির্মোহ ও সত্যবচনে আপসহীন। অন্যায়ের সমালোচনা করতে গিয়ে কখনো দল ও ব্যক্তি বিবেচনা করতেন না, যা তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।