জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কার ঠিকমতো না হওয়ায় সরকারের রাজস্ব আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না। এই অবস্থা উত্তরণে এনবিআরকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি অটোমেশনের মাধ্যমে কর আদায় পদ্ধতি আধুনিকায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্যবসায়ীদের সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) যৌথ উদ্যোগে গতকাল রোববার আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা এ পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে করকাঠামোর সংস্কার প্রস্তাব ও প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির ৯০ শতাংশ বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভরশীল। আইনের মধ্যে থেকে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। তাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি ও কর্মসংস্থানে গতি আসবে। আর রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে এনবিআরকে আরও ভালোভাবে সংস্কার করতে হবে।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বাজেটের আকার আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে সার্বিকভাবে আমাদের কর আদায়ের সক্ষমতা কম থাকায় এর চেয়ে বড় বাজেট করা যায়নি। এ জন্য কর আদায় নিশ্চিত করতে এনবিআরের অটোমেশনের কোনো বিকল্প নেই।’
সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এবারের বাজেট টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে পিআরআই চেয়ারম্যান জায়েদী সাত্তার বলেন, ‘নিম্ন কর-জিডিপির অনুপাতের কারণে আমাদের জিডিপির ৫ শতাংশের মতো বাজেট ঘাটতি থাকে। ঘাটতি বাজেটের ৬০ শতাংশ আমরা অভ্যন্তরীণ খাত থেকে অর্থায়ন করি, বাকি ৪০ শতাংশ আসে বৈদেশিক ঋণ থেকে। যদিও এখন বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।’
পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমাদের সামনে এখন সামষ্টিক অর্থনৈতিক সমস্যা বিরাজমান। তাই এখন মুদ্রাবাজারসহ সার্বিক অর্থনীতি ব্যবস্থাপনায় অনেক বেশি কৌশলী হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক আবদুর রাজ্জাক।