ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির দেনা এক হাজার কোটি টাকা নয় বলে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন ইভ্যালির সহ-উদ্যোক্তা শামীমা নাসরিন। তাঁর ভাষ্য, ইভ্যালির দেনা ৪০০ কোটি টাকার কম।
সার্ভার চালু করে দেওয়া হলে ইভ্যালি প্রকৃত হিসাব দিতে পারবে। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গ্রাহক, মার্চেন্ট ও অন্যান্য সংস্থার কাছে ইভ্যালির দেনা ছিল ৫৪৩ কোটি টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে চলবে, তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম কেমন হবে ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এই অনলাইন সংবাদ সম্মেলন করে ইভ্যালি।
সংবাদ সম্মেলনে ইভ্যালির সহ-উদ্যোক্তা শামীমা নাসরিন বলেন, ইভ্যালি সম্পর্কে কোনো মহল গণমাধ্যমকে ভুল তথ্য দিচ্ছে। এতে শুধু ইভ্যালির ক্ষতি হচ্ছে না, সামগ্রিকভাবে দেশের ই-কমার্স খাতের ক্ষতি হচ্ছে।
বিপুল ছাড়ে পণ্য বিক্রির কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল এবং তাঁর স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাসেল এখনো কারাগারে। তবে তাঁর স্ত্রী শামীমা গত এপ্রিল থেকে জামিনে রয়েছেন।
সম্প্রতি এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইভ্যালির বাণিজ্যিক কার্যক্রম কোনোভাবেই টেকসই ছিল না।