অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দিয়েছেন ৫ লাখ করদাতা
অনলাইনে বার্ষিক আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমাদানকারী করদাতার সংখ্যা গতকাল রোববার পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। এদিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রিটার্ন জমায় এই মাইলফলক অর্জনের তথ্য জানায়। এ ছাড়া অনলাইনে রিটার্ন দেওয়ার জন্য এনবিআরের সিস্টেমে সাড়ে ১২ লাখ করদাতা নিবন্ধন করেছেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গত ৯ সেপ্টেম্বর অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়ার সিস্টেম করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করে।
ইতিমধ্যে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বেসরকারি খাতের করদাতাদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৪০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে এনবিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এর আগে গত মাসে এক আদেশে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার সব সরকারি কর্মচারীসহ সব তফসিল ব্যাংক, মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, ইতিমধ্যে ই-রিটার্ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও করদাতাবান্ধব করা হয়েছে। অনলাইনে রিটার্ন জমার আগে প্রথমে করদাতাকে নিবন্ধন নিতে হয়। নিবন্ধন নিতে করদাতার নিজের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বায়োমেট্রিক করা মোবাইল নম্বর লাগে। এ দুটি দিয়ে নিবন্ধন করে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে হয়। যাঁদের বায়োমেট্রিক রেজিস্টার সিম নেই তাঁরা নতুন সিম সংগ্রহ করে সেটির মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারবেন। এনবিআরের ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা সহজে ও দ্রুত তাঁদের রিটার্ন তৈরি করে অনলাইনে জমা দিতে পারেন।
ইন্টারনেট ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট (ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড) ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা আয়কর পরিশোধ করতে পারেন। পাশাপাশি জমা দেওয়া রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, টিআইএন সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করার সুবিধা পারেন। এ ছাড়া ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় করদাতারা সহায়তার জন্য অফিস চলাকালে কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১৭১৭১ নম্বরে ফোন করে তাৎক্ষণিক সেবা নিতে পারেন।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন তথা ই-রিটার্ন দিতে করদাতাকে কোনো কাগজপত্র আপলোড করতে বা জমা দিতে হয় না। শুধু ওই সব দলিলের তথ্য দিলেই চলে। যেমন সনাতনী পদ্ধতিতে চাকরিজীবীদের আয়ের বা বেতন-ভাতার প্রমাণপত্র হিসেবে আগের বছরের ১ জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত (অর্থবছর) সময়ের ব্যাংক হিসাবের স্থিতি বা লেনদেনের বিবরণী (স্টেটমেন্ট) জমা দিতে হয়।