১০ বছরে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন

এডিপি

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাস জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৩১ দশমিক ১৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। অর্থবছরের আট মাস বিবেচনায় এটি গত ১০ বছরের মধ্যে এডিপির সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের হার।

গতকাল বুধবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত এডিপি বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে টাকার অঙ্কে এডিপি বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে প্রায় ৮৫ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা, যা এই সময়ের জন্য বরাদ্দ করা মোট অর্থের ৩১ দশমিক ১৭ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে এডিপি বাস্তবায়নে খরচ হয়েছিল ৮২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা, যা ওই বছরের এডিপির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের ৩২ দশমিক ১০ শতাংশ।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও বিভাগের সক্ষমতার অভাব এবং সম্পদের ঘাটতিই এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতির অন্যতম কারণ। সে জন্য প্রতিবছর বড় আকারের এডিপি হাতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা পুরোপুরি ও সময়মতো বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। তাই বছরের মাঝামাঝি এসে সরকারকে এডিপি কাটছাঁট করতে হয়। চলতি অর্থবছরের এডিপিও সংশোধন করে এরই মধ্যে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পসহ এডিপির আকার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এডিপির আকার ২ লখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এডিপির আকার ইতিমধ্যে কমানো হয়েছে। গত ১২ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এডিপির আকার ১৮ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। তাতে সংশোধিত এডিপির আকার কমে হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকারের রাজস্ব আদায় প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাই সম্পদ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে কৃচ্ছ্র সাধন করা হচ্ছে। এ কারণে বাস্তবায়নের গতি যেমন কমছে, তেমনি বরাদ্দও কমানো হয়েছে।