অর্থনীতি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে কোনো মন্তব্য করেননি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবে অর্থনীতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে (অন ট্র্যাক) আনবেন বলে তিনি দৃঢ়। অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটটি তিনি এমনভাবে করছেন, যাতে ব্যয় সংকোচন থেকে ব্যয় সম্প্রসারণের দিকে অর্থনীতিকে ফেরত নিয়ে আসা যায়।
সচিবালয়ে গতকাল রোববার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে আসেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিচালক কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ান। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অর্থনীতি এরই মধ্যে ব্যয় সংকোচনমূলক হলেও তা অতিক্রম করে যাচ্ছেন বলে জানান অর্থমন্ত্রী। বলেন, কীভাবে সম্প্রসারণ করা যায়, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট থেকেই সেই চেষ্টাই করা হবে।
কোন দর্শন নিয়ে বাজেট করা হচ্ছে জানতে চাইলে প্রথমে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা তো বলা যাবে না।’ দেশের মানুষ জানতে চায়—আবার জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জানতে তো চাইবেই। তবে এখনো বলার সময় আসেনি।’
মানুষকে স্বস্তি দেবে, এমন কিছু আগামী বাজেটে থাকছে কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চেষ্টা করছি, দেখা যাক। তবে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রবাসীরা অর্থ রাখলে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ সুদ দেওয়া হবে। এটা তো বিরাট সুযোগ। আগামী বাজেটে এ ব্যাপারে কথা থাকবে। এ ছাড়া অনেক অর্থ মামলার কারণে আদালতে আটকে আছে। এটারও চেষ্টা করা হচ্ছে। এ টাকায় অনেক কিছু করা যাবে।’
পরে অবশ্য অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। এর মধ্যে রয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নয়ন, রাজস্ব আদায় ইত্যাদি। এগুলোর উত্তরণ ঘটিয়ে আগামী অর্থবছরের বাজেটে মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো পূরণের চেষ্টা থাকবে বাজেটে। নিত্যপণ্য যাতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান যেন থাকে একটা সীমার মধ্যে, থাকবে এমন চেষ্টাও।
আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দ বাড়ানো হবে কি না, জানতে চাইলে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘কিছুটা বাড়ানো হবে। এটা তো একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। এখন বলা যাবে না।’