এখন থেকে করদাতারা তাঁদের কর নিবন্ধন বাতিল করতে পারবেন। করদাতাদের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) কিছু শর্ত সাপেক্ষে বাতিলের সুযোগ রাখা হয়েছে নতুন আয়কর আইনে। এ জন্য করদাতাকে যথাযথ কারণ দেখিয়ে আবেদন করতে হবে। সম্প্রতি নতুন এ আইন সংসদে পাস হয়েছে।
তবে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে কোনো বকেয়া কর নেই, এমন বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে এবং আবেদনকারীর কারণগুলো যৌক্তিকভাবে যাচাই–বাছাইয়ের পরই টিআইএন বাতিল করবেন কর কর্মকর্তারা। আগের আয়কর অধ্যাদেশে টিআইএন বাতিলের কোনো সুযোগ ছিল না। ফলে অনেকেই টিআইএন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
যে ছয় শর্তে কর নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করা যাবে, সেগুলো হলো: ১. যেসব করদাতার রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা নেই; ২. মৃত্যু, অবসায়ন, অবলুপ্তি বা অনুরূপ কোনো কারণে অস্তিত্বহীন হয়ে যান; ৩. স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করলে এবং বাংলাদেশে আয় করার কোনো কর্মকাণ্ড না থাকলে; ৪. ডুপ্লিকেট নিবন্ধন বা ভুল নিবন্ধন পেলে; ৫. আইনি মর্যাদা পরিবর্তন করলে এবং ৬. অন্য কোনো আইনানুগ কারণে।
কর নিবন্ধন বাতিলে আগ্রহী করদাতাদের নিজ নিজ কর অঞ্চলে আবেদন করতে হবে। করদাতার কাছ থেকে আবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর কর্মকর্তা চারটি বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে টিআইএন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবেন। ওই চার বিষয় হলো: ওই করদাতার কাছে কোনো বকেয়া দায় নেই; করদাতার বিরুদ্ধে কোনো কর নির্ধারণ নিয়ে মামলা নিষ্পন্নাধীন নেই; যেকোনো ফোরামে আয়করসংক্রান্ত কোনো বিরোধ নিষ্পন্নাধীন নেই এবং করদাতা আবেদনপত্রে নিবন্ধন বাতিলের যে কারণ দেখিয়েছেন, তার সত্যতা আছে।
তবে নিবন্ধন বাতিল করলেও সব তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। বর্তমানে ৮৭ লাখ টিআইএনধারী থাকলেও মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ করদাতা নিয়মিত রিটার্ন জমা দেন।