নভেম্বরে কমেছে মূল্যস্ফীতি, সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

মূল্যস্ফীতিপ্রতীকী ছবি

দেশে গত নভেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমেছে, যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৯ দশমিক ৬৩ ও ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

নভেম্বরে গ্রাম-শহরনির্বিশেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে। যদিও শহরের তুলনায় গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি, ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অক্টোবরে গ্রাম ও শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল সাড়ে ১২ শতাংশের বেশি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, গত অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে।

অন্যদিকে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে দশমিক ১৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৮২ ও ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে যাওয়ার অর্থ গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি খানিকটা কমেছে। বাজারে শীতের শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদির দাম গত মাসে কমেছে। যদিও চাল, আটা, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আলুসহ বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম এখনো বাড়তি।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, অক্টোবরে শহর-গ্রামনির্বিশেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় সমান ছিল। তবে নভেম্বরে শহরের তুলনায় গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি। গত মাসে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তার বিপরীতে শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অন্যদিকে নভেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি শহরে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং গ্রামে ৮ শতাংশ।

গ্রামের সার্বিক মূল্যস্ফীতি গত অক্টোবরের চেয়ে নভেম্বরে দশমিক ৩৭ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর শহরের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ।