২৭ বছরেও আশানুরূপ অর্জন নেই বিমসটেকের: বাণিজ্য উপদেষ্টা

২৭ বছরেও আশানুরূপ অর্জন নেই বিমসটেকের। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে বহুখাতীয়, কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা উদ্যোগ (বিমসটেক) হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশ নিয়ে গঠিত একটি আঞ্চলিক জোট। এর সদস্যদেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক বোঝাপড়া সংস্থাটিকে কার্যকর করে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আজ সোমবার বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্রা মানি পান্ডে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে ঢাকায় সচিবালয়ে সৌজন্য বৈঠক করেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুই অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহিম খান ও আয়েশা আক্তার; যুগ্ম সচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন আহমেদ; উপসচিব ফারহানা ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পরই বিজ্ঞপ্তিটি পাঠায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

১৯৯৭ সালে গঠিত বিমসটেকের সদস্যদেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান। বিশাল জনগোষ্ঠীর মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা এ জোট নিয়ে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার ‘লুক ইস্ট’ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ‘লুক ওয়েস্ট’ নীতির মাধ্যমে দুই অঞ্চলের সমন্বয়ের ভিত্তিতে বিমসটেক নামের এই অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়। এ জোটের আওতায় বিমসটেক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার জন্য ২০০৪ সালে একটি চুক্তি সই হয়। সদস্যদেশগুলো পারস্পরিক সহযোগিতার ১৪টি ক্ষেত্রও চিহ্নিত করে তখন। কিন্তু এফটিএ আর হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ বশিরউদ্দীন বৈঠকে বলেন যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল বিমসটেক। সদস্যদেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় কাজ করলেও ২৭ বছরে আশানুরূপ অর্জন নেই এ সংস্থার। আঞ্চলিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করতে বিমসটেককে একটি পথনকশা (রোডম্যাপ) তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।

বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্রা মানি বলেন, এই সংস্থাকে আরও কার্যকর করতে সাহায্য করবে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকগুলো। আঞ্চলিক পরিমণ্ডলে আমদানি, রপ্তানি ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকগুলো ফলপ্রসূ করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা চান তিনি।