ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবি থেকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়া যাবে: অর্থ উপদেষ্টা
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ পাওয়া যাবে। সরকারকে বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে এ অর্থ দেবে সংস্থাটি। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ রোববার ঢাকায় সচিবালয়ে এডিবির একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তাঁর সঙ্গে আজ জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) একটি প্রতিনিধিদলও সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এ ছাড়া ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারও আজ বিকেলে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঋণ দেওয়ার বিষয়ে এডিবির পাশাপাশি জাইকা ও অস্ট্রেলিয়া ইতিবাচক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের অতিরিক্ত আরও ৩০০ কোটি ডলার চাওয়া হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘জাইকা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে তাদের অর্থায়ন রয়েছে। ভৌত অবকাঠামো ঋণগুলো আমরা চলমান রাখতে বলেছি। তারা চলমান রাখবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি বিষয়ে তাদের সহায়তার বিষয় রয়েছে।’
বৈদেশিক ঋণপ্রবাহ কমে গেছে কি না, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের ১৫ বছরে বাংলাদেশে বিদেশি ঋণের প্রবাহ ঠিক ছিল। তিনি বলেন, এসব ঋণ ব্যবহারে কোন দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেটাই বড় বিষয়। এগুলোর ব্যবহার নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজকে যারা এসেছিলেন, তাদের তিনজনই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা সবার সঙ্গে আলাপ করেছি। বলেছি, চলমান সহায়তাগুলো তারা যেন আরও জোরদার করে।’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। তারা যেসব সহায়তা করে, সেগুলো সরাসরি প্রভাব ফেলে। ইউরোপ, কানাডা ও যুক্তরাজ্য ছাড়া অস্ট্রেলিয়া অনেক বড় দেশ। তারা আঞ্চলিক বাণিজ্যের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য খুব সীমিত দেশের সঙ্গে হয়। অস্ট্রেলিয়া এলে ভালো হবে। অস্ট্রেলিয়া জ্বালানি ও কৃষি খাতে বিনিয়োগ করতে চায়।’
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কম সুদে ঋণ আনা আমাদের অগ্রাধিকার। আমরা চাই, ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়াতে। জাপানি ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৩০ বছর। তাদের দেওয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ডও ১০ বছর। চীনকে বলেছি, তাদের দেওয়া ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়িয়ে যেন ৩০ বছর করা হয়।’