কক্সবাজার ও টাঙ্গাইলে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে
কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট ও টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন দুটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সাঈদ মাহবুব খান জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলায় সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ যৌথভাবে পেয়েছে কেএআই বাংলাদেশ অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড ও অলটেক অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কনসোর্টিয়াম। প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ টাকা ৯৮ পয়সা হিসাবে তাদের সরকার পরিশোধ করবে ৩ হাজার ৫৫৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পেয়েছে যৌথভাবে রিনিউবেল এনার্জি ইউকে লিমিটেড, বাদল কনস্ট্রাকশন ও জি-টেক সলিউশন লিমিটেড কনসোর্টিয়াম। প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ টাকা ৯৯ পয়সা হিসাবে সরকার তাদের আনুমানিক ৩ হাজার ৫৬১ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করবে।
এ ছাড়া ক্রয় কমিটির বৈঠকে ‘বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বৈদ্যুতিক বিতরণব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও ক্ষমতাবর্ধন (ঢাকা-ময়মনসিংহ বিভাগ)’ প্রকল্পের ৩৩ হাজার ৮৪৬টি এসপিসি পোল (খুঁটি) কেনার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। ১০৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকায় খুঁটি সরবরাহের কাজ পেয়েছে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি।
এদিকে ক্রয় কমিটিতে গতকাল সুইজারল্যান্ড থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। জানানো হয়, ২০২৪ সালে প্রথম এলএনজি আসবে সুইজারল্যান্ড থেকে। এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৬৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সাঈদ মাহবুব খান জানান, টোটাল ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে এই এলএনজি কেনা হবে।