অবশেষে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করল বিবিএস
অবশেষে মূল্যস্ফীতির তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য-উপাত্ত আজ সোমবার বিবিএস তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। অবশ্য ১১ অক্টোবর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের ওই দুই মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য জানিয়েছিলেন। কিন্তু দেশের প্রধান তথ্য-উপাত্ত সৃষ্টিকারী সংস্থা হিসেবে আজ মূল্যস্ফীতির তথ্য সবার সামনে উন্মুক্ত করল বিবিএস।
বিবিএসের হিসাবে, গত আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে তা কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছে। আগস্ট মাসে গত ১১ বছর ৩ মাসের (১৩৫ মাস) মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। ২০১১ সালের মে মাসের পর মূল্যস্ফীতি আর কখনোই ৯ শতাংশের বেশি হয়নি।
এবারের মূল্যস্ফীতির তথ্য–উপাত্ত প্রকাশ নিয়ে বেশ আগে থেকেই আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। গত আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে পেট্রল, অকটেন, ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের দাম সাড়ে ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে কখনোই জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে এতটা বাড়ানো হয়নি। তাই আগস্ট মাসের শুরু থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। এ ছাড়া যাতায়াত, পোশাক, শিক্ষাসামগ্রীর মতো খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের দামও বেড়েছে। তখন থেকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা করছেন দেশের অর্থনীতিবিদেরা। কিন্তু প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করার কথা থাকলেও বিবিএস তা করেনি। শেষ পর্যন্ত একসঙ্গে দুই মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হলো।
মূল্যস্ফীতি যে হারে বেড়েছে, মজুরি সেই হারে বাড়েনি। বিবিএসের হিসাবে, গত আগস্ট মাসে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর সেপ্টেম্বর মাসে তা হয় ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অর্থাৎ জিনিসপত্রের দাম যে হারে বাড়ছে, মজুরি সেই হারে বৃদ্ধি না পাওয়ায় ভোক্তার প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।