একক ভ্যাট হারের পক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যান
একক মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট হারের পক্ষে কথা বলেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘একক ভ্যাট হার করতে পারলে ভালো হয়। এতে ভ্যাট ফাঁকি অনেক কমে যায়। অবশ্যই আমরা ভ্যাটের একক হার নির্ধারণের চেষ্টা করব। এ জন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হবে।’
আজ সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান কথাগুলো বলেন। আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ভ্যাট দিবস উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এনবিআর। অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভ্যাট দিবসের পাশাপাশি ভ্যাট সপ্তাহও পালন করা হবে। ভ্যাট দিবস উপলক্ষে আগামীকাল সেমিনারের আয়োজন করবে এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এবারের ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, ‘ভ্যাট দিব জনে জনে, অংশ নিব উন্নয়নে’।
দেশে বর্তমানে একাধিক হারে ভ্যাট আদায় করা হয়। সে জন্য একটি একক ভ্যাট হার, যেমন ১৫ বা ১০ শতাংশ এমন কিছু করার কথাবার্তা চলছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) ভ্যাটের একক হার করার জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘করের হার যৌক্তিক করা হবে। নিত্যপণ্য ছাড়া অন্য সব পণ্যের ওপর থেকে ধীরে ধীরে করছাড় প্রত্যাহার করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।’
সম্প্রতি বেশ কিছু নিত্যপণ্যে শুল্ক-কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এসবের সুফল আশানুরূপভাবে জনগণ পাচ্ছেন না বলে মনে করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘যেমন সুফল আশা করেছিলাম, তেমন পাইনি। সয়াবিন তেলের শুল্ক-কর কমানোর পরও দাম কমছে না। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। মূল সমস্যা হলো, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হার দীর্ঘদিন এক জায়গায় ছিল। মার্কিন ডলারের দাম ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় উন্নীত হয়েছে। ধাপে ধাপে ডলারের দাম বাড়ানো হলে মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় হয়ে যেত।’
আবদুর রহমান খান আরও বলেন, কিছু পণ্যের শুল্ক-কর ছাড় দেওয়ার সুফল মিলেছে। যেমন এক ডজন ডিমের দাম ১৮০ টাকায় উঠেছিল। তা এখন ১৪০-১৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।