রপ্তানির সংশোধিত তথ্য প্রকাশ করা হবে: অর্থ উপদেষ্টা
সরকারের বিভিন্ন সংস্থার রপ্তানির তথ্যে যে গরমিল ছিল, সেই সমস্যা নিরসন হয়েছে। কিছুদিন পরে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পর্ষদ বৈঠক হবে; সেই বৈঠকে চূড়ান্ত তথ্য অনুমোদন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার সচিবালয়ে ইপিবির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। ইপিবির প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
তবে চলতি অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা কত হবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, পর্ষদ বৈঠকে এসব অনুমোদন হবে, তার আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা যাবে না। মূলত অ্যাসাইকুডার ভিত্তিতে এসব তথ্যের মধ্যে সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রপ্তানির তথ্যে পরিবর্তন এলে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির পরিসংখ্যানে পরিবর্তন আসে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, হ্যাঁ, সেটাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। জিডিপির হিসাব উৎপাদন প্রণালিতে (প্রোডাকশন মেথড) করা হয়। ১৯টি খাতের ওপর এই হিসাব করা হয়। হিসাব হয়ে গেলে সবাইকে জানানো হবে।
দেশে বর্তমানে ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোটের অবস্থা খুব খারাপ। এতে নানা সমস্যা হচ্ছে। এ বিষয়ে কিছু করা হবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত। তিনি আরও বলেন, দেশের টাকার নোট যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয় না। সে জন্য একসময় ৫, ১০ ও ২০ টাকার ধাতব মুদ্রা ব্যবহারের চিন্তা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব ছিল না। এখন নতুন টাকা ছাড়তে গেলে পুরোনো টাকা বাজার থেকে তুলে নিতে হবে। যেসব নোটের অবস্থা বেশি খারাপ, সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়। সেই টাকা গণনা করাও খুব কঠিন কাজ, যদিও আপাতদৃষ্টে মনে হয়, বিষয়টি খুব সহজ। যাহোক, গভর্নর আছেন; তিনি বিষয়টি দেখবেন।
বাজেট সংশোধনের চিন্তা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অহেতুক অপচয় বা ব্যয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখা যাবে। প্রকল্পের বিষয়গুলো পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দেখবেন। বড় বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার দায়িত্ব তাঁর। অর্থ মন্ত্রণালয় ছোট ছোট বিষয় দেখবে।