সামাজিক নিরাপত্তায় ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ঋণসহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে তারা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আর্থসামাজিক চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এবং বাংলাদেশের সামাজিক সুরক্ষাব্যবস্থা আরও উন্নত করার লক্ষ্যে ২৫ কোটি ডলারের এই ঋণচুক্তি হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে এই চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পদ বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে সই করেন সংস্থাটির এদেশীয় প্রধান এডিমন গিন্টিং।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এডিবির নতুন এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দেশের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির প্রতিরোধ ও সুরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানো হবে। জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ২০২১-২৬-এর দ্বিতীয় ধাপের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে নতুন এই কর্মসূচি। এই কর্মসূচি সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধিসহ সবচেয়ে অরক্ষিত মানুষকে নিরাপত্তা দেবে। এই কর্মসূচি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ব্যবস্থাপনার মানোন্নয়ন করবে। অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে এটা করা হবে। এতে মানুষের অসহায়ত্ব কমবে; অর্থাৎ দারিদ্র্যের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নগদ সহায়তা কর্মসূচি যাদের পাওয়ার কথা, তাদের পরিবর্তে যেন অন্য কেউ না পায়, সে লক্ষ্যে সত্যতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা চালু করা হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির দক্ষতা বৃদ্ধিতে অক্ষম মানুষের জন্য প্রচলিত দুটি নগদভিত্তিক কর্মসূচি একীভূত করা হবে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কারা সবচেয়ে অরক্ষিত অবস্থায় আছে, তা চিহ্নিত করে উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাদের সুনির্দিষ্ট চাহিদা মেটাতে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া।
বিধবা ভাতা কর্মসূচির আওতায় ভাতাভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও ট্রান্সজেন্ডার মানুষের জীবিকা নির্বাহ কর্মসূচি সম্প্রসারণ করাও এই ঋণ কর্মসূচির লক্ষ্য। নারী উদ্যোক্তাদের পুনঃ অর্থায়ন কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য গঠিত স্মল এন্টারপ্রাইজ রিফিন্যান্সিং স্কিমের বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শ্রমজীবীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শ্রমিক সংগঠন, নিয়োগদাতা ও সরকারের সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় জোট গঠন করা হবে। তিন পক্ষের অংশীদারি নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে শ্রমজীবীদের সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করাই এর উদ্দেশ্য।
এডিবির এদেশীয় প্রধান এডিমন গিনটিং বলেন, ‘সেকেন্ড স্ট্রেংথেনিং সোশ্যাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম’ কর্মসূচির লক্ষ্য হলো সুরক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদার করা ও সামাজিক সুরক্ষার চাহিদা মেটাতে সংস্কার কাজের গতি বাড়ানো। এ কর্মসূচির প্রথম ধাপ ২০২২ সালের জুনে শেষ হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।