বাংলাদেশও নোট অচল করেছিল যখন
বাংলাদেশে প্রথম কাগুজে নোট চালু করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ। ওই দিন প্রথম ১ টাকা ও ১০০ টাকার নোট চালু করা হয়। এর আগপর্যন্ত লেনদেনে পাকিস্তানি রুপি ব্যবহার করা হতো। কেউ কেউ ভারতীয় রুপিও গ্রহণ করতেন।
স্বাধীন দেশের মুদ্রার নামকরণ করা হয় টাকা। তবে তখনো পাকিস্তানি রুপির প্রচলন বাংলাদেশে ছিল। মূলত অন্তর্বর্তী হিসেবে তা চালু ছিল। পর্যায়ক্রমে তা বাতিল বা অচল করা হয়েছিল। যেমন প্রথমে ৫০ রুপি মূল্যমানের পাকিস্তানি নোটটি অচল ঘোষণা করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ৫ মার্চ। পরে একই বছরের ৬ জুন রাষ্ট্রপতির আদেশবলে ৫ ও ১০ রুপির পাকিস্তানি নোট বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তা কার্যকর করা হয় ৮ জুন থেকে। আর ১৯৭৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি ১ ও ২ রুপির নোট অচল ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ প্রথম নিজস্ব কাগুজে নোট পায় স্বাধীনতার তিন মাসের মধ্যে। তখন জরুরি ভিত্তিতে ভারতের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে ১ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নোট ছাপিয়ে আনা হয়। আর ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ তা বাংলাদেশের নিজস্ব মুদ্রা হিসেবে অবমুক্ত করা হয়েছিল। এসব নোটে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র মুদ্রিত ছিল। এরপর ১৯৭২ সালের ২ মে ১০ টাকা মূল্যমানের নোট এবং ২ জুন বাজারে আসে ৫ টাকা মূল্যমানের নোট। সে সময় ১ মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান সাড়ে ৭ টাকা থেকে ৮ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হয়।
তবে ভারতের নাসিক থেকে ছাপানো নোটগুলোয় নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের ঘাটতি থাকায় ব্যাপক হারে জাল মুদ্রা ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে ভারত থেকে মুদ্রিত ও প্রাথমিক পর্যায়ে চালু করা জলছাপবিহীন ও বাংলাদেশের মানচিত্রের রূপরেখাসংবলিত ১০০, ১০ ও ৫ টাকা মূল্যমানের ব্যাংকনোট ১৯৭৩ সালের ১ মে থেকে অচল ঘোষণা করা হয়। এই আদেশ দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৩ সালের ৩ মার্চ। আদেশ অনুযায়ী ১৯৭৩ সালের ১৬ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়া অফিস থেকে সেসব নোটের বিনিময়মূল্য প্রদান করা হয়েছিল। এরপর ভারত থেকে মুদ্রিত ১ টাকা মূল্যমানের মানচিত্র সিরিজের নোটটি ১৯৭৪ সালের ৩০ মার্চ অচল ঘোষণা করা হয়।
এরপর বাংলাদেশে প্রচলিত ১০০ টাকার নোট ছাপিয়ে আনা হয়েছিল ইংল্যান্ডের থমাস ডিলারু থেকে। আর তার প্রচলন হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১ সেপ্টেম্বর। সেই নোটও পরে অচল করা হয়েছিল। তবে তা ছাপানোর মানের কারণে নয় বরং অর্থনৈতিক কারণে।
এ নিয়ে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস’ বইটিতে বলা হয়েছে, ‘১৯৭৪-৭৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকগুলো কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। স্বাধীনতার সময় থেকে চলে আসা মুদ্রাস্ফীতির চাপ সে বছরের প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট এবং উন্নত দেশসমূহে প্রধানত তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ফলে টাকার মূল্যমান আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পায় এবং দেশের অভ্যন্তরে দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। বছরের প্রথম দিকে ব্যাপক হারে অর্থ সরবরাহ বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার অপ্রতুলতার কারণে আমদানি হ্রাস, বন্যার ফলে সৃষ্ট খাদ্যঘাটতি, অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যাংকঋণের ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য ও তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমাবনতির দিকে ধাবিত হয়।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও লিখেছে, ‘মূল্যস্ফীতিজনিত মুনাফা অর্জনের প্রত্যাশায় দেশে ব্যাংকঋণের একটা অংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য মজুতের কাজে ব্যবহৃত হতে থাকে। অনুৎপাদনশীল খাত এবং ফটকা ব্যবসায়ে ব্যাংকঋণের ব্যবহার বন্ধ করে উৎপাদনের ক্ষেত্রে অধিক হারে ঋণ জোগান দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৭৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে পর্যায়ক্রমে কতিপয় বিশেষ ঋণ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা গ্রহণ করে। একই উদ্দেশ্যে ১৯৭৪ সালের জুলাই মাসে ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানো হয়েছিল। স্বাধীনতার পর থেকে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত ব্যাংকের সুদের হার অপরিবর্তিত ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ব্যাংকঋণ এবং অর্থ সরবরাহ ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিক শেষে ব্যাংকঋণের পরিমাণ ৫৪.৪৫ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে ৯০৮.৪৩ কোটি টাকা দাঁড়ায়।
একইভাবে, উক্ত সময়ে অর্থ সরবরাহ ৪৮.১৩ কোটি টাকা হ্রাস পায়। এ সময়ে সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের অর্থনীতিতে একটা সুনির্দিষ্ট পরিবর্তন সাধনের উদ্দেশ্যে সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শক্রমে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রথমত, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং কন্ট্রোল বিভাগের (বিসিডি) ০৬/০৪/১৯৭৫ তারিখের সার্কুলার অনুযায়ী ১৯৭৫ সালের ৭ এপ্রিল ইতিপূর্বে প্রচলিত সকল ১০০ টাকার নোট অচল ঘোষণা করা হয় (অচল ঘোষিত নোটের বিনিময়মূল্য প্রত্যর্পণসম্পর্কিত ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত সরকারি সিদ্ধান্তসমূহের পুনরাবৃত্তি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের স্বাক্ষরে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়)। দ্বিতীয়ত, ১৯৭৫ সালের মে মাসে টাকার মূল্যমান পুনর্নির্ধারণ করা হয়। বিশেষ কিছু পরিস্থিতির কারণে এই ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের থমাস ডিলার হতে মুদ্রিত নতুন ও উন্নত নিরাপত্তার ১০০ টাকা মূল্যমানের নোট ১ মার্চ ১৯৭৬ সালে প্রচলনে দেওয়া হয়।’
১০০ টাকার নোট অচল করার সেই গল্প
১৯৭৫ সালের ৬ এপ্রিল। সন্ধ্যা ছয়টায় হঠাৎ করে রেডিও-টেলিভিশনে অর্থমন্ত্রী আজিজুর রহমান (এ আর) মল্লিকের ঘোষণা। ঠিক তখন থেকেই ১০০ টাকার নোট অচল ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে সেটাই ছিল কালোটাকা প্রতিহত করার প্রথম ও সবচেয়ে জোরালো পদক্ষেপ। আর বাংলাদেশের ইতিহাসে সেটাই ছিল নোট অচল করার একমাত্র ঘটনা।
সরকার এরপর তিন দিন অর্থাৎ ৭, ৮ ও ৯ এপ্রিল ১০০ টাকার নোট জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেয়। বলা ছিল, এই তিন দিন ট্রেজারি ও ব্যাংক আর কোনো কাজ করবে না, কেবল ১০০ টাকার নোট জমা নেবে। এমনকি এ সময় ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোনো ট্রেন সীমান্তবর্তী এলাকার স্টেশনে থামবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরের নির্দেশনা ছিল, ১২ এপ্রিল শনিবার জমা করা ১০০ টাকার নোটের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। এমনকি ৫০০ টাকা পর্যন্ত যাঁরা অর্থ জমা দিয়েছেন, তাঁদেরও ৩০০ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। পরে ফেরত দেওয়া অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করা হয়।
অর্থমন্ত্রী এ আর মল্লিক ১৯৭৫ সালের ২৩ জুন ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরের যে বাজেট দেন, সেখানে ১০০ টাকার নোট অচল করার ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেছিলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির চাপ প্রশমিত করা ও অর্থনীতিতে কালো ও বাড়তি টাকার অশুভ প্রভাব দূর করিবার জন্য সরকার বিগত ৬ই এপ্রিল ১০০ টাকার নোট অচল বলিয়া ঘোষণা করেন। জনগণ তাঁহাদের সাময়িক অসুবিধা সত্ত্বেও, সরকারের এই প্রচেষ্টার সাফল্যের জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে সাড়া দিয়াছেন, তাহার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। জনগণের এই সহযোগিতার ফলে চোরাকারবারি ও কালোবাজারি বহু লোকের অসদুপায়ে অর্জিত টাকা আটকা পড়িয়াছে। সরকার অবগত আছেন যে এই টাকা বাতিল ঘোষণার ফলে কিছু কিছু সৎ ও নিরীহ জনসাধারণ অসুবিধার সম্মুখীন হইয়াছেন। কিন্তু জাতির বৃহত্তর স্বার্থের খাতিরে সরকারের এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। জনসাধারণের সুবিধার জন্য সরকার ৮০০ টাকা পর্যন্ত জমাদানকারীকে আংশিক নগদ ও অবশিষ্ট পাঁচ হইতে সাত বৎসর মেয়াদি শতকরা বার্ষিক ৮ ভাগ সুদসহ ঋণপত্রের মাধ্যমে পরিশোধ করিবার কার্যক্রম ঘোষণা করিয়াছেন। অবশ্য পরবর্তী পর্যায়ে অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এই ঋণের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বেও পরিশোধ করিবার বিষয় পুনর্বিবেচনা করিতে পারেন। সরকারের এই সুচিন্তিত ব্যবস্থার ফলে মুদ্রা সরবরাহ হ্রাস পাইয়াছে ও জিনিসপত্রের মূল্যের ওপর ইহার কিছুটা শুভ প্রভাব পরিলক্ষিত হইতেছে।’
অর্থমন্ত্রী যা লিখেছেন
এ আর মল্লিক ‘আমার জীবনকথা ও বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম’ নামে একটি জীবনস্মৃতিমূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন ১৯৯৫ সালে। তিনি লিখেছেন, ‘এ সময় এক শ টাকার নোট অচল করা একটি বড় ধরনের ঘটনা ছিল। বঙ্গবন্ধুকে বললাম, এক শ টাকার নোট ব্যাপকভাবে চোরাচালান হচ্ছে, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে টাকা জমা করছে। আমি এক শ টাকার নোট অচল করতে চাই, যারা ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে তাদের ধরতে চাই।’
বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। কিন্তু জানাজানি হওয়ার আশঙ্কার কথা বলা হলে বঙ্গবন্ধু সেটা মেনে নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নাজির আহমেদ, অর্থসচিব কফিলউদ্দিন মাহমুদ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে পুরো প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বাবা মারা গেলে অচল ঘোষণার তারিখ একদফা পিছিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে তারিখ নির্দিষ্ট করা হয় ৬ এপ্রিল। তবে বঙ্গবন্ধু জানান যে ঘোষণার আগে দুজনকে জানানো হবে, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলী।
এ নিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী এ আর মল্লিক লিখেছেন, ‘আমি বললাম, ঠিক আছে, তাঁদের আপনি সকাল সাড়ে আটটার দিকে ডাকেন। আমার লোকজন আটটার মধ্যে চলে আসবে। কিন্তু ভাই, আপনি কিছু মনে করবেন না—আই উইল কিপ দেম। সন্ধ্যার আগে বেরোতে দেব না। বঙ্গবন্ধু বললেন, “ঠিক আছে, আপনি যা পারেন, করেন।” তারপরই তিনি বললেন, “তাহলে এক কাজ করেন, বিছানাপত্র আনিয়ে নিই।” তিনি তিনটা বিছানা আনালেন, খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা এখানে হবে, সে খবরও বাসাতে পাঠালেন।’ সে অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিকেল নাগাদ সব কাগজপত্র তৈরি হয়ে যায়, তিন বাহিনীর প্রধানদের ডাকা হয়, ডাক বিভাগ, রেডিও, টেলিভিশন সবাইকে ডাকা হলো। তাদের জানানো হয়, সন্ধ্যার সময় ১০০ টাকার নোট অচল ঘোষণা দেওয়া হবে। আর ছয়টি হেলিকপ্টার প্রয়োজন হবে পরদিন সকালে সর্বত্র কাগজপত্র পাঠানোর জন্য। প্রতিটি ব্যাংক, পোস্ট অফিসে এসব কাগজপত্র যাবে।
সন্ধ্যা ছয়টায় ১০০ টাকার নোট অচল করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সময়ের বর্ণনা দিয়েছেন এ আর মল্লিক। তিনি লিখেছেন, ‘প্রথমে আমি নিউমার্কেটে গেলাম। সেখান থেকে বায়তুল মোকাররমে সোনার দোকান প্রত্যক্ষ করলাম, কেউ সোনা কিনছে কি না। দেখলাম মার্কেট খুব নরমাল। তারপর নিশ্চিন্ত হয়ে অফিসে ফিরে গেলাম।...সন্ধ্যা সাতটায় ঘোষণা করার কথা ছিল। মিনিট বিশেক আগে আমরা বেরোলাম। বেরিয়ে প্রথমে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে নামালাম। তারপর ক্যাপ্টেন মনসুরকে নামিয়ে আমি আমার বাসার দিকে রওনা হলাম।’
শেষ কথা
২০১৬ সালের নভেম্বরে ভারতে মোদি সরকার ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিল করেছিল। শেষ পর্যন্ত এতে খুব একটা লাভবান হতে পারেনি তারা। এবার ভারত প্রত্যাহার কর নিল ২ হাজার রুপির নোট। এখনো বড় প্রশ্ন, নোট অচল করার ফল কী হয়েছিল? এ কথা পরিষ্কার যে দেশে কালোটাকার প্রসার কমেনি, বরং বেড়েছে। এর পরের ইতিহাস হচ্ছে কেবলই কালোটাকার প্রসার ও কালোটাকার মালিকদের সুযোগ দেওয়ার ইতিহাস।