গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ পাচ্ছে জাপান

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদফাইল ছবি: প্রথম আলো

পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘গভীর সমুদ্রবন্দর চীন না ভারত করবে, এটা নিয়ে টানাপোড়েন ছিল। তবে জাপান আমাদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়, তাই জাপানই গভীর সমুদ্রবন্দরে অর্থায়ন করবে। আমরা একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছি। জাপান অর্থ দেবে। জাপানের অর্থায়নের প্রকল্প সময়মতো শেষ হয়। প্রকল্পের অর্থ বেঁচে গেলে সেই অর্থ অন্য প্রকল্পে দিয়ে দেয়।’

আজ সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে একনেক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ তথা ‘মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট (২য় সংশোধিত) ’ শীর্ষক এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৮১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩ হাজার ৫৪৪ কোটি ৬২ লাখ ও প্রকল্পের নিজস্ব তহবিল থেকে আসবে ২ হাজার ৮৬৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রকল্প ঋণ হিসেবে নেওয়া হবে ১৭ হাজার ৯৬৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, একনেক সভায় উন্নয়ন প্রকল্পের গাড়ির খোঁজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, সারা দেশে বিভিন্ন প্রকল্পে কতগুলো গাড়ি আছে, সেগুলো কী অবস্থায় আছে, তা জানার এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানকে।

দেশে এখন বিনিয়োগের গতি শ্লথ। বেসরকারি খাতের শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যাংকের মালিকেরা নিরুদ্দেশ। যদিও বেসরকারি খাত অর্থনীতির চালিকা শক্তি। এত বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিনিয়োগে এ ধরনের শ্লথগতি থাকা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

একনেক সভায় ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এর মধ্যে সাতটি প্রকল্পের শুধু মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। চারটি প্রকল্পে নতুন করে ২৪ হাজার ৪১২ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৭৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ থেকে ১৬ হাজার ১২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৬৫৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আসবে। একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২: এলেঙ্গা-হাটিকমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করা; নির্বাচিত তিনটি অর্থনৈতিক গ্রোথ করিডরের অন্তর্ভুক্ত ৬টি সিটি করপোরেশন ও ৮১টি পৌরসভার জলবায়ুসহনশীল নগর অবকাঠামো উন্নয়ন ও পরিষেবাসমূহ বৃদ্ধি করা; চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর একটি রেল-কাম-রোড সেতু নির্মাণ প্রকল্প এবং মাতারবাড়ী পোর্ট ডেভেলপমেন্ট (২য় সংশোধিত) প্রকল্প।