দেশীয় টাইলস ও স্যানিটারি পণ্যের ওপর থেকে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এই খাতের উৎপাদকেরা। গত কয়েক অর্থবছরের প্রাক্-বাজেট আলোচনায়ও একই দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। বর্তমানে দেশীয় টাইলসের ওপর ১৫ শতাংশ ও স্যানিটারি পণ্যে ১০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে পণ্যের দাম কমবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রাক্-বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ সিরামিক উৎপাদক ও রপ্তানি সমিতির (বিসিএমইএ) নেতারা এ দাবি জানান। গতকাল সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআরের সম্মেলনকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। বিসিএমইএ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে এই খাতের ব্যবসায়ীরা সভায় অংশ নেন। এ সময় এনবিআরের সদস্য মাসুদ সাদিক ও এ কে এম বদিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গতকালের প্রাক্-বাজেট আলোচনায় ছয়টি বিষয়ে মোট ২৬টি প্রস্তাব দিয়েছে বিসিএমইএ। সংগঠনটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘কাঁচামাল ও গ্যাসের দাম অনেক বেড়েছে। ফলে উৎপাদন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের বলা হয়েছিল, বর্তমান দরে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করলে গ্যাসের সমস্যা থাকবে না। কিন্তু বেশি দাম দিয়েও আমরা ঠিকভাবে গ্যাস পাচ্ছি না। ফলে উৎপাদন কমে গেছে।’
সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবির পক্ষে বিসিএমইএর যুক্তি হলো, ভবন নির্মাণের অন্যতম উপকরণ হিসেবে সিরামিক পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। আমদানি বিকল্প পণ্য হিসেবে এটি অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। তবে বর্তমানে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় সিরামিক পণ্যের দাম অনেক বেড়েছে।
এ অবস্থায় সিরামিক টাইলসের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে স্থানীয় বাজারে পণ্যটির মূল্য কমবে। এতে টাইলসের ব্যবহারও বাড়বে।
এদিকে বিদেশে তৈরি সিরামিক পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ট্যারিফ মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাবও দিয়েছে সিরামিক উৎপাদক ও রপ্তানি সমিতি। সংগঠনটি বলছে, বর্তমানে সিরামিক পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ৪০ শতাংশ বাড়লেও বিক্রয়মূল্য বাড়ানো গেছে মাত্র ৫ শতাংশ। এতে আমদানি করা সিরামিক পণ্যের সঙ্গে তারা অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে।