বাস্তবায়নই হবে বড় চ্যালেঞ্জ, বাজেট নিয়ে ডিসিসিআইয়ের প্রতিক্রিয়া
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় বাজেট–ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা বেশ কমানো হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির সহায়ক। এটা সরাসরি মূল্যস্ফীতি কমাতে সহায়ক হবে।’
তবে সংগঠনটি এ–ও মনে করে, লক্ষ্যমাত্রা কমানোর পরেও প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা বেশ বড়ই রয়ে গেছে। এ জন্য ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ নেওয়ার বড় লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে তা বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি করবে। ফলে এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপরেও চাপ তৈরি করবে।
ডিসিসিআইয়ের মতে, নতুন বাজেটে আরও কিছু বিষয়, যেমন সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, উৎসে করকে ন্যূনতম কর পরিগণনা রহিতকরণ, আর্থিক খাতে বিকল্প উৎস তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত পরিস্থিতির উত্তরণ, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর কমানো ও সিএমএসএমই খাতের জন্য পৃথক ট্যাক্স কোড গঠনের মতো কিছু ক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ রয়েছে।
ঢাকা চেম্বার বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি, স্থানীয় শিল্পায়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, করজাল সম্প্রসারণ, ঘাটতি মেটাতে আর্থিক খাত–নির্ভরতা কমানোর ওপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ জন্য সংগঠনটি প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে।
ডিসিসিআই বলেছে, ‘আমরা মনে করি যে এই কঠিন অর্থনৈতিক চাপের মুখেও সময়োচিত বাজেট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য বাজেট–ঘাটতি যেমন কমানো হয়েছে, তেমনি করহার না বাড়িয়ে করের পরিমাণ বৃদ্ধির চেষ্টাও আছে সেখানে। এ ছাড়া সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা ও মান বাড়ানোর চেষ্টাও আছে অর্থমন্ত্রীর ভাষণে। আশা করছি, বাজেটে যে ইতিবাচক উদ্যোগগুলোর কথা বলা আছে, সরকার দ্রুততম সময়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করবে। এটিই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’