১০ দিনে অনলাইনে রিটার্ন জমা ৪৬৭১টি
মাত্র ১০ দিনে সাড়ে চার হাজারের বেশি করদাতা অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। আর রিটার্ন প্রস্তুত করেছেন পাঁচ হাজারের বেশি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সর্বশেষ হালনাগাদ চিত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত বছরের অক্টোবর মাসে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য অনলাইন রিটার্নের ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে চালু করে এনবিআর।
এ বছর অনলাইনে রিটার্ন জমা শুরু হয় গত ২৫ আগস্ট। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনে ৪ হাজার ৬৭১ জন করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ৪৬৭ জন করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন। গত ১০ দিনে রিটার্ন প্রস্তুত করেছেন ৫ হাজার ২৭০ জন করদাতা। তাঁরা পরে রিটার্ন জমা দেবেন। সব মিলিয়ে এই সময়ে অনলাইনে রিটার্ন জমা ও অন্যান্য সেবার জন্য ১ লাখ ১৮ হাজার ২৮১ জন নিবন্ধন নিয়েছেন।
এ বিষয়ে অনলাইন ব্যবস্থা চালুর সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত একজন শীর্ষ কর কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম ১০ দিনে আমরা বেশ ভালো সাড়া পেয়েছি। আশা করছি, চলতি বছরে পাঁচ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দেবেন।’ উল্লেখ্য, প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দেওয়া যায়।
গত অর্থবছরের ১০ অক্টোবর অনলাইনে রিটার্ন জমার সুবিধা চালু করে এনবিআর। গতবার সব মিলিয়ে প্রায় ৭২ হাজার করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আয়কর আইনজীবীদের অনেকেই মক্কেলদের বার্ষিক রিটার্ন প্রস্তুত করছেন। তাঁরা জমা না দিলেও এই অনলাইন সুবিধায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে হিসাব-নিকাশ করে ফেলছেন। কর আইনজীবীরা এখন অনলাইন রিটার্ন ব্যবস্থায় ঝুঁকছেন।
৫১ কোটি টাকা খরচ করে ২০১৬ সালে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। চার বছর চালু থাকার পর ২০১৯ সাল পর্যন্ত তা চলে। ওই সময় প্রতিবছর পাঁচ-ছয় হাজার করদাতা বার্ষিক রিটার্ন জমা দিতেন। ২০১৯ সালের পর আর কেউ অনলাইনে রিটার্ন দিতে পারেননি। এই প্রকল্পের ঠিকাদার ভিয়েতনামের প্রতিষ্ঠানও কাজ বুঝিয়ে না দিয়ে চলে গেছে। পরে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর বিভাগের একটি বিশেষ দল মাত্র দুই কোটি টাকা খরচ করে নতুন অনলাইন ব্যবস্থা চালু করে।
অনলাইনে রিটার্ন জমা, কর পরিশোধ, রিটার্ন প্রস্তুত, নিবন্ধন নেওয়াসহ যাবতীয় কাজ করা যায়। এমনকি রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারও পাওয়া যায়। অনলাইনে রিটার্ন দিতে হলে প্রথমে এনবিআরের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের কর-জিডিপির অনুপাত সবচেয়ে কম। এখন তা ১০ শতাংশের নিচে। এই হার প্রতিবেশী দেশ নেপালের অর্ধেকের চেয়েও কম। এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান বা পাকিস্তানও এদিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে ভালো। এ ছাড়া সামগ্রিক রাজস্বে প্রত্যক্ষ করের চেয়ে পরোক্ষ করের অনুপাত বেশি।