করের চাপে খরচ বাড়বে মানুষের
কথা বলায় খরচ বাড়তে পারে।
এলইডি বাতি, এসি, ফ্রিজ, পানি শোধন যন্ত্র, সিসি ক্যামেরা, জুসের দাম বাড়তে পারে।
করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না।
উত্তরাধিকার সম্পদ হস্তান্তরে কর নেই।
ফ্ল্যাট-প্লট কেনা ও নগদ টাকায় ‘কালোটাকা সাদা’ করার সুযোগ।
নতুন বাজেটে সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়ছে। প্রতিদিনের জীবনযাপনে ব্যবহৃত হয় এ রকম নানা পণ্য ও সেবার ওপর বাড়তি কর আসছে। মানুষের জীবনধারণ যখন ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে, তখন স্বস্তি দেওয়ার জন্য সাধারণত করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়। কিন্তু এবার তা–ও বাড়ছে না। তবে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থকে বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে বাজেটে।
শুল্ক বাড়তে পারে মুঠোফোনের রিচার্জের ওপর। ফলে ফোনে কথা বলতে গিয়ে মানুষকে আগের চেয়ে বেশি অর্থ খরচ করতে হবে। পানি শোধন যন্ত্র, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালি সামগ্রীর ওপর শুল্ক-কর বাড়তে পারে। এতে খরচ বাড়বে মধ্যবিত্তের। ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার ওপর আবগারি শুল্কও বাড়ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরের বাজেটে করছাড় খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হবে। কারণ, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) রাজস্ব আদায়ের শর্ত পূরণ করতে গিয়ে কিছু খাতে বিদ্যমান কর অব্যাহতি তুলে নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম মাসরুর রিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আড়াই বছর ধরে আমরা উচ্চ মূল্যস্ফীতির সময় পার করছি। এর ফলে জীবনযাত্রার খরচ অনেক বেড়েছে। তাই এখন ঢালাওভাবে শুল্ক-কর বাড়িয়ে দেওয়া কাম্য নয়। এতে জীবনযাত্রার খরচ আরও বাড়বে।’
মাসরুর রিয়াজ আরও বলেন, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির প্রয়োজন আছে। কিন্তু করের হার বাড়িয়ে কিংবা ঢালাওভাবে কর বাড়ানোর চিন্তা ভুল। এতে অর্থনীতিতে সুফল দেবে না; বরং সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়বে। তিনি পরামর্শ দেন, করছাড় যৌক্তিক করা, কর ফাঁকি রোধ, সরকারি প্রতিষ্ঠানের বকেয়া কর আদায় এবং কর দিতে পারে এমন নতুন নতুন খাত বের করা—এসব উদ্যোগ নিয়ে রাজস্ব আদায় বাড়ানো যেতে পারে।
কথা বলায় খরচ বাড়তে পারে
উচ্চবিত্ত থেকে শুরু মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত সবার কাছেই এখন মোবাইল অতি প্রয়োজনীয় যন্ত্র। কথা বলার পাশাপাশি ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ—এসব জীবনযাত্রার অনুষঙ্গ হয়ে গেছে। আগামী বাজেটে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে টকটাইম ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা আছে। এটি আরও ৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। এই প্রস্তাব পাস হলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে।
বর্তমানে মুঠোফোনে প্রতি এক শ টাকার সেবা পেতে হলে ১৩৩ টাকা ২৫ পয়সা রিচার্জ করতে হয়। নতুন প্রস্তাব পাস হলে ১০০ টাকার সেবা পেতে ১৩৯ টাকা রিচার্জ করতে হবে। ২০১৫-১৬ সালের বাজেটে মুঠোফোনে ভয়েস সেবার ওপরে প্রথমবারের মতো ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। পরে তা বাড়তে বাড়তে ১৫ শতাংশ হয়।
এমনকি মুঠোফোনে নতুন সিম কিনলে যে ২০০ টাকা কর দিতে হয়, তা–ও এবার বেড়ে ৩০০ টাকা হতে পারে।
যেসব গৃহস্থালি জিনিসের দাম বাড়তে পারে
বাসাবাড়িতে এখন এলইডি বাতির ব্যবহার হয়। এই বাতির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১০ শতাংশ হতে পারে। ফলে বাড়তে পারে এলইডি বাতির দাম। পাশাপাশি টিউবলাইটের ওপর একই হারে ভ্যাট বাড়তে পারে।
মধ্যবিত্ত পরিবারও এখন এসি কেনার চেষ্টা করে। কিন্তু এবার তাতে হাত দেওয়া হচ্ছে। উৎপাদন পর্যায়ে এসির ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট বসতে পারে। ৩০ জুন পর্যন্ত এসি উৎপাদন ভ্যাটমুক্ত থাকবে। রেফ্রিজারেটরের উৎপাদন পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট বেড়ে ১০ শতাংশ হতে পারে।
এ ছাড়া আম, তেঁতুল, পেয়ারা, আনারসসহ বিভিন্ন ধরনের জুসের ওপর উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বসানোর পরিকল্পনা করছে এনবিআর।
এখন নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারেও পানি শোধন যন্ত্র (ওয়াটার পিউরিফায়ার) ব্যবহার করা হয়। এসব যন্ত্র আমদানিতে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক আছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, এই শুল্ক ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এতে ভোক্তা পর্যায়ে এই যন্ত্রের দাম বাড়বে।
নিরাপত্তার স্বার্থে এখন বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। সিসি ক্যামেরা আমদানির ওপর বর্তমানের ১ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ শুল্ক বসতে পারে। আবার শহরে নিরাপত্তা সেবা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি প্রহরী নিয়োগ দেয়। এ সেবা পেতেও খরচ বাড়াতে হবে। কারণ, নিরাপত্তা সেবার ওপর বর্তমানের ১০ শতাংশ থেকে ভ্যাট বেড়ে ১৫ শতাংশ হতে পারে।
লিফট আমদানিতেও শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।
তবে ল্যাপটপের দাম কমতে পারে। ল্যাপটপ আমদানিতে এখন সব মিলিয়ে ৩১ শতাংশ শুল্ক-কর দিতে হয়। আগামী বাজেটে তা কমিয়ে সাড়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে।
সাধারণত বিয়ে, বিবাহবার্ষিকী, জন্মদিন, গায়েহলুদ, সুন্নতে খতনাসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সভা, সেমিনার, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করতে কমিউনিটি সেন্টার ও মিলনায়তন ভাড়া করা হয়। এখন থেকে বার্ষিক আয়কর রিটার্ন জমার রসিদ ছাড়া মিলনায়তন ভাড়া করা যাবে না। বর্তমানে ৪৩ ধরনের সেবা পেতে রিটার্ন জমার কপি লাগে। এই তালিকায় মিলনায়তন ভাড়া, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নিবন্ধন ও নবায়নে রিটার্ন জমার এই বাধ্যবাধকতা যুক্ত হতে পারে।
উত্তরাধিকার সম্পদ হস্তান্তরে কর নেই
উত্তরাধিকার, উইল, অসিয়ত এবং অবাতিলযোগ্য কোনো ট্রাস্টমূলে সম্পদ অর্জন করলে তা করমুক্ত থাকবে। এর মানে হলো উত্তরাধিকার সূত্রে কোনো জমি, ফ্ল্যাটসহ সম্পদ পেলে তাতে কর দিতে হবে না। এ ছাড়া এতিমখানা, অনাথ আশ্রম ও ধর্মীয় উপাসনালয়কে গাড়ির অগ্রিম কর পরিশোধ করতে হবে না—এমন ঘোষণা আসছে বাজেটে।
করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না
আগামী অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না। এখনকার মতো বার্ষিক করমুক্ত সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকাই থাকছে।
তবে করহার পুনর্বিন্যাস হচ্ছে। এখন ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ করহারের সঙ্গে ৩০ শতাংশের আরেকটি স্তর আসছে। বছরে আয় সাড়ে ৩৮ লাখ টাকার বেশি হলে করদাতাকে বাকি অর্থের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
জমি, ফ্ল্যাট কেনার পাশাপাশি নগদ টাকাও সাদা করা যাবে
আগামী জুলাই মাস থেকে এক বছরের জন্য কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। নগদ টাকার ওপর ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে যেকেউ এই সুযোগ নিতে পারবেন। একইভাবে জমি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট কিনেও নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে টাকা সাদা করা যাবে।
দুই বছর আগে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ শেষ হয়। সে সময় খুব একটা সাড়া মেলেনি। এরপর বিদেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হয় এক বছরের জন্য। কিন্তু কেউ-ই সেই সুযোগ নেননি।
প্রায় সব সরকারের আমলেই কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়। এই পর্যন্ত ৪৭ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে।
সংসদ সদস্যদের গাড়িতে শুল্ক বসতে পারে
সংসদ সদস্যদের আমদানি করা গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসতে পারে। সংসদ সদস্যরা কোনো শুল্ক-কর ছাড়াই গাড়ি আমদানি করতে পারেন। ৩৬ বছর ধরে এই সুবিধা পেয়ে আসছেন তাঁরা। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারায়। তবে নীতিনির্ধারকদের দিক থেকে সংসদ সদস্যের গাড়ির ওপর শুল্ক না বসানোর চাপ আছে। শেষ পর্যন্ত এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
বর্তমানে গাড়ির ইঞ্জিনের সিসিভেদে ৪৫ শতাংশ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়।
উদ্যোক্তাদের জন্য ভালো-মন্দ খবর
ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো খবর যেমন আছে, তেমনি আছে খারাপ খবরও। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন প্রতিষ্ঠানের করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে। শর্ত হলো ৫ লাখ টাকার একক লেনদেন এবং বার্ষিক লেনদেন ৩৬ লাখ টাকার বেশি হলে তা ব্যাংকের মাধ্যমে হতে হবে। তবে সমবায় সমিতির করহার ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে।
ব্যবসায়ীরা কিছু পণ্য আমদানিতে শুল্ক সুবিধা পান। সেই সুবিধা সীমিত করা হচ্ছে। খাদ্যপণ্য, কৃষি উপকরণ, ওষুধসহ অত্যাবশ্যকীয় ও জীবন রক্ষাকারী পণ্যসহ ৩২৯টি পণ্য আমদানি করতে আমদানিকারককে কোনো আমদানি শুল্ক ও সম্পূরক শুল্ক দিতে হয় না। আগামী বাজেটে ওই তালিকার অন্তত ১০-১৫ শতাংশ পণ্যের ওপর ১ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। সেই হিসাবে অর্ধশতাধিক পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসতে পারে। প্রাথমিক তালিকায় আছে, গম, ভুট্টা, শর্ষের বীজ, তুলার বীজ, বিভিন্ন শাকসবজির বীজ, বিটুমিন, কয়লা, জিপসাম, ভিটামিন, পেনিসিলিন, ইনসুলিন, বিভিন্ন ধরনের দরকারি রাসায়নিক, প্লাস্টিক কয়েল, পেপার বোর্ড, বিভিন্ন স্টিলজাতীয় পণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ ইত্যাদি।
এ ছাড়া বর্তমানে ২৭টি তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতে বিনিয়োগ করলে কর অবকাশ সুবিধা পাওয়া যায়। আগামী বাজেটে এই কর অবকাশ সুবিধাপ্রাপ্ত খাতের সংখ্যা ১৯-এ নামিয়ে আনা হচ্ছে।
২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত ১৩ ধরনের বড় অবকাঠামো খাতে ১০ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা আছে। এসব বড় অবকাঠামোর ক্ষেত্রে কর অবকাশ সুবিধা উঠিয়ে দেওয়া হতে পারে। যেসব খাতে কর অবকাশ সুবিধা উঠতে পারে সেগুলো হলো গভীর সমুদ্রবন্দর বা নদীবন্দর; এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে; রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল; ফ্লাইওভার, টোল রোড ও ব্রিজ; গ্যাস পাইপলাইন; আইসিটি পার্ক; হাইটেক পার্ক; অনুমোদিত পানি শোধনাগার; পানি সরবরাহ বা পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা; এলএনজি টার্মিনাল ও সঞ্চালন লাইন; মনোরেল ও সাবওয়েসহ রেলপথ; নবায়নযোগ্য জ্বালানি।
এ ছাড়া হাইটেক পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্পকারখানার মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসতে পারে। এই দুটি অঞ্চলের শিল্পমালিকেরা আর শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ পাবেন না। এ ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসতে পারে।
এদিকে শেয়ারবাজার থেকে ক্যাপিটাল গেইনের ওপর কর কমানোর চিন্তা করা হচ্ছে। বার্ষিক ৫০ লাখ টাকার বেশি ক্যাপিটাল গেইন হলে কর বসতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ওপরই কর বসবে। এ ছাড়া কোম্পানি পরিচালকদের শেয়ারবাজার থেকে আয়ের ওপর উৎসে কর কাটার বিধান আসতে পারে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা হয়। সেই মুনাফার ওপর এখন ১০ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখা হয়। এটি বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে।
এ ছাড়া ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড), আনুতোষিক তহবিল (গ্র্যাচুইটি ফান্ড) কোথাও বিনিয়োগ করলে যে মুনাফা আসে, তার ওপর ১৫ শতাংশ হারে উৎস কেটে রাখা হয়। এই করহার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হতে পারে। পুনর্বিন্যাস হতে পারে ঠিকাদারি বিলের ওপর উৎসে করহার।