রিজার্ভ ও মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে আইএমএফ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ বেলআউটের (পুনরুদ্ধার) জন্য আইএমএফের কাছ থেকে কোনো সহায়তা চায় না; বরং পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আইএমএফের ঋণসহায়তা চাচ্ছে। আজ সোমবার গণভবনে ঢাকা সফররত আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহর সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জ্যেষ্ঠ অর্থসচিব ফাতেমা ইয়াসমিন ও ঢাকায় আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি জয়েন্দু দে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইএমএফ প্রতিনিধির কাছে বিগত এক দশকে দেশে নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, কৃষি, ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের অগ্রগতির গতি কমে গেছে। এ অবস্থায় দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তার জন্য সরকার সামাজিক সুরক্ষার জাল ও খাদ্য কর্মসূচি বাড়িয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে পতিত জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আর্থসামাজিক পরিবর্তনের প্রশংসা করেন আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও। তিনি বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও উচ্চ আয়ের দেশে উত্তরণে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের দীর্ঘ সময়ের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে অ্যান্তইনেত জানান, এই সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি এখানে (বাংলাদেশে) এসেছেন।
আইএমএফের এই প্রতিনিধি আরও বলেন, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতির চাপ ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছে। আইএমএফ এসব সমস্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।