বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি এখন রেকর্ড উচ্চতায়। গত বছর করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর থেকেই মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে শুরু করে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে তা আরও বৃদ্ধি পায়। মূলত জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে সবকিছুর দাম বাড়তি। খাদ্য মূল্যস্ফীতিও রেকর্ড উচ্চতায়।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে মন্দার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) মনে করছে, বিশ্বজুড়ে মন্দার ঝুঁকি কম; বরং কয়েকটি উন্নত অর্থনীতি মন্দায় পড়ার ঝুঁকিতে আছে। খবর রয়টার্সের।
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত জি–২০ সম্মেলনে ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক এনগোজি ওকোনজো-আইওয়েলা বলেন, মন্দার আশঙ্কা আছে, তবে বিশ্বের সবখানে মন্দা হবে, তা মনে হয় না। প্রধান কয়েকটি অর্থনীতি মন্দার ঝুঁকিতে আছে, যদিও এর প্রভাব উদীয়মান অর্থনীতি ও দরিদ্র দেশগুলোর জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। ওই দেশগুলোর রপ্তানিপণ্যের মূল গন্তব্য ইউরোপ-আমেরিকায়। এ পরিস্থিতিতে চাহিদা কমে যাওয়ায় উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর রপ্তানি আয় নিম্নমুখী হবে। তবে এই প্রভাব মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর সহায়তা প্রয়োজন বলে তাঁর মত। কারণ, আন্তর্জাতিক চাহিদা না কমলে উদীয়মান দেশগুলোয় মন্দার প্রভাব কমে যাবে।
ওকোনজো-আইওয়েলা বলেন, অর্থনীতি নিয়ে অনেক অনিশ্চয়তা আছে। বেশির ভাগ বৈশ্বিক সংস্থার পূর্বাভাসও নেতিবাচক। ইউক্রেন যুদ্ধ ও মূল্যস্ফীতিজনিত জটিলতা বিশ্ব অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। কবে নাগাদ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে, তা নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, যুদ্ধ শেষ না হলে এ পরিস্থিতি উত্তরণের সম্ভাবনা নেই।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক বাণিজ্য সংস্থা গত মাসে পূর্বাভাস দিয়েছিল, ২০২৩ সালে বিশ্ব বাণিজ্য মাত্র ১ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, যা চলতি বছর ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বাণিজ্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস থেকে অনেক কম।