এডহক কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছে অর্থনীতি সমিতি
বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ব্যানারে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির যে এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছে সমিতির নির্বাচিত কমিটি। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি এই এডহক কমিটি গঠনের তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদ করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অর্থনীতি সমিতি বলেছে, গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির বিপরীতে নির্বাচনে পরাজিত প্যানেলের প্রার্থীদের নিয়ে যে এডহক কমিটি গঠনের দাবি করা হয়েছে, তা যেকোনো সভ্য সমাজের আইন ও রীতিনীতির পরিপন্থী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি স্বাধীন বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ১৯৭৪ সালে গৃহীত গঠনতন্ত্রবলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদদের নেতৃত্বে নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাশ্রমে পরিচালিত হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের (আইএ) নিবন্ধিত এই সমিতি সরকারের সব আইন, বিধিবিধান ও আইএর নিয়মকানুন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অলাভজনক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে।
‘বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি’ সৃষ্টি করে কতিপয় ব্যক্তি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সম্পর্কে বিভিন্ন রকম অপপ্রচার ও ভিত্তিহীন প্রচারণা চালিয়ে আসছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়েছে। তারা একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচনের অভিযোগ তুলে এডহক কমিটি গঠনের কথা বলছে।
যাঁরা এই এডহক কমিটি গঠন করেছেন, তাঁদের একাংশ চলতি বছরের ১৮ মে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিল। তাঁরা পরাজিত হওয়ার পর সহস্রাধিক সদস্যের উপস্থিতিতে বিজয়ী প্যানেলকে অভিনন্দন জানিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এমনকি সেই সময় তাঁরা ভোটগ্রহণ পদ্ধতি নিয়ে আপত্তিও তোলেননি, বরং নির্বাচনের প্রশংসা করেছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক ছয় দফা, স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, জাতীয় সংবিধান ও বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ভূমিকা ও অবদান সর্বজনবিদিত।
গত সোমবার বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির পক্ষ থেকে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আজিজুর রহমানকে সভাপতি করে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির এডহক কমিটি গঠন করা হয়। তারা গত মে মাসে একতরফা ও বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।