কিস্তি ক্রেতার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা

স্ত্রীর মৃত্যুতে ওয়ালটন প্লাজার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করছেন রাজধানীর ডেমরা এলাকার পোশাককর্মী আল-আমিন শরিফ মুন্না।
ছবি–ওয়ালটন


সারা দেশে শতাধিক কিস্তি ক্রেতা পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তি পণ্য বিক্রয় এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ালটন প্লাজা’। আর্থিক সহায়তার পরিমাণ ৩২ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এর পাশাপাশি কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারী গ্রাহকের বাকি কিস্তির টাকাও মওকুফ করে দিয়েছে ওয়ালটন প্লাজা।

দেশব্যাপী চলমান ওয়ালটন প্লাজার ‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’র আওতায় কিস্তি ক্রেতা গ্রাহক ও পরিবারকে এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। কিস্তিতে পণ্য ক্রয় করার পর কোনো গ্রাহক ও তাঁর পরিবারের সদস্যের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে ওয়ালটন প্লাজা থেকে এই আর্থিক সহায়তা পেয়েছে সুরক্ষা কার্ডধারী গ্রাহকের পরিবারগুলো।

ওয়ালটন প্লাজার প্রধান নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ‘শুধু মুনাফা অর্জনই ওয়ালটন প্লাজার লক্ষ্য নয়, গ্রাহকদের হাতে সাশ্রয়ী দামে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদানেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ওয়ালটন প্লাজা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চালু করা হয়েছে ‘‘কিস্তি ক্রেতা ও পরিবার সুরক্ষানীতি’’। আর্থিক সহায়তা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে আরও বেশ কিছু গ্রাহকের পরিবার।’ তিনি জানান, শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বে একমাত্র ওয়ালটনই কিস্তিতে পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের এমন সুরক্ষা ও সুবিধা প্রদান করছে। ক্রেতাদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ থেকেই এ কার্যক্রম চালাচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এতে একদিকে ওয়ালটন প্লাজার সুনাম ও ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ গ্রাহক পরিবারগুলোও উপকৃত হচ্ছেন।

ওয়ালটন প্লাজার ব্র্যান্ড ম্যানেজার ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশে গত বছরের ডিসেম্বরে এ সুরক্ষানীতি চালু করা হয়েছে। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে পণ্য ক্রয়কারীদের কিস্তি সুরক্ষা কার্ড দেওয়া হয়। কিস্তি চলমান থাকা অবস্থায় ক্রেতার মৃত্যু হলে পণ্যমূল্যের ভিত্তিতে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ এবং তার পরিবারের কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিচ্ছে ওয়ালটন প্লাজা। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পণ্যের অনাদায়ি কিস্তির টাকা সমন্বয়ের পর অবশিষ্ট টাকা ক্রেতা বা তার পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সারা দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটন প্লাজার এই সুরক্ষানীতি।

চট্টগ্রামে মৃত জসীম উদ্দীনের স্ত্রী রংমালা খাতুনের হাতে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দিচ্ছেন চকবাজার ওয়ালটন প্লাজার কর্মকর্তারা।
ছবি–ওয়ালটন

ওয়ালটন প্লাজা থেকে সম্প্রতি আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেছেন রাজধানীর ডেমরায় পোশাকশ্রমিক আল-আমিন শরিফ। তিনি চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ডেমরা ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে মিক্সচার গ্রাইন্ডার ও ইলেকট্রিক ফ্যান কেনেন। এরপর গত ১৬ জুন তাঁর স্ত্রী হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুতে তাঁর বাকি কিস্তির টাকা মওকুফসহ ২৫ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে প্লাজা।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের চকবাজার ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করেন কিস্তি ক্রেতা জসিম উদ্দীনের স্ত্রী রংমালা খাতুন। চকবাজার ওয়ালটন প্লাজা থেকে গত ১৬ এপ্রিল একটি স্মার্ট এলইডি টিভি কেনার পর গত ২০ জুন স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেন ক্রেতা জসিম। পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েন রংমালা খাতুন। এ সময় তাঁর পাশে দাঁড়ায় ওয়ালটন প্লাজা। পরিবারটির বাকি সব কিস্তি মওকুফসহ মোট ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বিপদের দিনে এই আর্থিক সহায়তা তাঁদের অনেক উপকারে এসেছে বলে জানান রংমালা খাতুন।

আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি দেশের স্বনামধন্য হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জীবনবিমা, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা কার্ডধারীদের জন্য সর্বোচ্চ সেবা, মূল্যছাড়সহ বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করেছে ওয়ালটন প্লাজা। কিস্তি ক্রেতারা যেন জীবদ্দশাতেই খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন খাতে বিশেষ সুবিধা পান, সে জন্যই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা চলমান থাকবে এবং এর আওতা পর্যায়ক্রমে আরও বৃদ্ধি করা হবে। বিজ্ঞপ্তি