রুচি ‘বিউটিগ্রাম’: বাংলার সৌন্দর্যের খোঁজে

‘রুচি বিউটিগ্রাম’ আয়োজনে দেশের প্রকৃতি, মানুষের জীবন ও অগ্রগতির গল্পকে নতুন করে আবিষ্কার করার চেষ্টা করা হয়ছবি: রুচি বিউটিগ্রামের সৌজন্যে

প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশ। এ দেশকে আমরা কতটা জানি? কতটা দেখেছি বাংলার রূপ? দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে অজস্র সুন্দর অজানা সব জায়গা।

এমন সব অজানা সৌন্দর্যের খোঁজে ‘রুচি’র উদ্যোগে শুরু হয় ‘বিউটিগ্রাম’-এর যাত্রা। ‘রুচি বিউটিগ্রাম’ আয়োজনে এ দেশের প্রকৃতি, মানুষের জীবন আর অগ্রগতির গল্পকেই নতুন করে আবিষ্কার করার চেষ্টা করে সবাই।

দেশের আনাচকানাচে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান ফটোগ্রাফার, উঠতি চলচ্চিত্রনির্মাতা বা তরুণ গল্পকারেরা তুলে ধরেন বাংলার অজানা রূপ। দেশজুড়ে তরুণেরা তাঁদের লেখা গল্প, ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি ও ভিডিও পাঠান রুচিকে।

নির্দিষ্ট থিম দিয়ে ‘ওপেন সাবমিশন’ চেয়ে প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়। যেমন গত সিজনের থিম ধরা হয়েছিল ‘নতুন বাংলাদেশ’। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সাবমিশন’ চেয়ে চালানো হয় প্রচার। থিমের সঙ্গে মিল রেখে গল্প, ছবি ও ভিডিও—তিন ক্যাটাগরিতে ‘সাবমিশন’ করেন প্রতিযোগীরা।

রুচি ‘বিউটিগ্রাম’ সবচেয়ে বেশি ‘সাবমিশন’ পেয়েছিল গত সিজনে। ১৫ হাজারের বেশি ‘সাবমিশন’ জমা পড়েছিল রুচি ‘এক্সপ্লোর লিমিটলেস’-এর ওয়েবসাইটে।

শিল্পের বিষয়, পেছনে থাকা ভাবনা ও ভাবনার গভীরতা, জীবনের সঙ্গে সম্পর্ক—এসবের ভিত্তিতে হয় প্রাথমিক বাছাইপর্ব।

প্রাথমিক বাছাই শেষে শুরু হয় ‘মাস্টারক্লাস’-এর প্রস্তুতি। নির্বাচিত তরুণ-তরুণীদের অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করতে দেশের স্বনামধন্য শিল্পী, চলচ্চিত্রনির্মাতা ও আলোকচিত্রীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় মাস্টারক্লাস। এই ক্লাসে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নতুনরা বিচারকদের কাছ থেকে সরাসরি শেখার সুযোগ পান। বিচারকদের অভিজ্ঞতার ঝুলি আর সৃজনশীল নির্দেশনায় নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারেন।

রুচি বিউটিগ্রামের ছয়টি সিজন সফলভাবে আয়োজিত হয়েছে।

তিন দিনব্যাপী এই আয়োজনে অসংখ্য দর্শকের আনাগোনায় মুখর হয় প্রদর্শনী প্রাঙ্গণ। দর্শকেরা উপভোগ করেন মনোরম সব শিল্পকর্ম। আবিষ্কার করেন এ দেশের চারপাশে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য। এ ছাড়া প্রদর্শনীর শেষ দিন বিচারক ও দর্শকদের ভোটিংয়ের মাধ্যমে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।

এই ধারাবাহিকতায় রুচি বিউটিগ্রামের ছয়টি সিজন সফলভাবে আয়োজিত হয়েছে। লেখক-কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব, চিত্রগ্রাহক শংকর সাঁওজাল, সৈয়দ লতিফ হোসাইন, জি এম বি আকাশ, রাশেদ জামান, লেখক ইফফাত নাওয়াজ, ট্র্যাভেলার ও পাখিবিশারদ তারেক অণু এবং নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর মতো গুণী ব্যক্তিরা নাম লিখিয়েছেন রুচি বিউটিগ্রামের বিচারক ও প্রশিক্ষকের তালিকায়।

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) মো. পারভেজ সাইফুল ইসলাম রুচি ‘বিউটিগ্রাম’ সম্পর্ক বলেন, ‘তরুণদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত আবিষ্কারের এই জার্নি চালিয়ে যাবে রুচি। তরুণেরা যাতে আরও বেশি বেশি ভ্রমণ করেন, নিজেদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পারেন, তাঁদের উৎসাহ দিতে নিরলস কাজ করে যাবে ব্র্যান্ডটি।’

রুচি ‘বিউটিগ্রাম’ প্রতিবছর বাংলাদেশের অজানা, অদেখা সৌন্দর্য এবং গল্প তুলে ধরে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। দেশের মানুষ যাতে বারবার এই অনিন্দ্যসুন্দর রূপ-সৌন্দর্যে ডুব দিতে পারে, সে জন্যেই নিয়মিতভাবে এ আয়োজন চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা সংশ্লিষ্টদের।