নতুন জ্বালানির জগতে জি–গ্যাস
গত ১০ বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৬ শতাংশের ওপরে। সেই সঙ্গে বাড়ছে জ্বালানির ব্যবহার। আবার পরিবেশ বিপর্যয়ের বাস্তবতায় জ্বালানির ব্যবহারেও পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশ এখন এলপি গ্যাসের যুগে প্রবেশ করেছে।
প্রায় ৪০ বছর দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এনার্জিপ্যাক। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালে এনার্জিপ্যাক বাজারে নিয়ে এসেছে জি-গ্যাস এলপিজি। খুলনার দাকোপ উপজেলায় প্রায় ৩০ একর জায়গাজুড়ে স্থাপিত হয়েছে অত্যাধুনিক জি-গ্যাস প্ল্যান্ট। সেখানে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন তিনটি স্ফেরিক্যাল স্টোরেজ আছে। গ্যাস পরিবহন সহজ ও নির্ঝঞ্ঝাট করতে জি-গ্যাসের আছে এমটি-জি-গ্যাস ১০১-এলপিজি ভেসেল।
ব্যবহারকারীর চূড়ান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ইউরোপীয় প্রযুক্তি ও জাপানি কাঁচামাল ব্যবহার করে তৈরি হয় জি-গ্যাসের সিলিন্ডার। বাসাবাড়ি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সরবরাহের উদ্দেশ্যে প্রতি মাসে প্রায় এক লাখ গ্যাস সিলিন্ডার প্রস্তুত করা হয় সিলিন্ডার ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে। ফিজিক্যাল টেস্টিংয়ের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে প্রতিটি সিলিন্ডার হাইড্রোলিক প্রেশার টেস্টিং, রাসায়নিক ও এক্স-রে টেস্টিংয়ের পর বাজারজাত করা হয়। পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রক্রিয়ায় গ্যাস ফিলিং করা হয়। নিরাপদভাবে ওজন ঠিক রেখে তা করা হয়। এ ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনঃপরীক্ষা মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় এর পুনর্ব্যবহারের গুণগত মান।
সুবিন্যস্ত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জি-গ্যাস এলপিজি দেশজুড়ে গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়। আর এই বিতরণ নেটওয়ার্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্থাপন করা হয়েছে জি-গ্যাসের স্যাটেলাইট প্ল্যান্ট-১০১। ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার গ্রাহকদের অধিক চাহিদার কথা মাথায় রেখে জি-গ্যাসের সহজলভ্যতা নিশ্চিত ও দ্রুতগতিতে গ্রাহকের দোরগোড়ায় জি-গ্যাস পৌঁছে দিতে পূর্ণোদ্যমে চলছে জি-গ্যাস স্যাটেলাইট প্ল্যান্ট-১০১–এর কার্যক্রম।
দেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে এলপি গ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জি-গ্যাস এলপিজি দেশের সেই অগ্রযাত্রায় শামিল হয়েছে।